রাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় মারামারি

রাবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারি। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। 

আজ শুক্রবার দুপুরে খাওয়ার সময় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির পর এ মারামারির সূত্রপাত।

এক গ্রুপ অপর গ্রুপের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে দুই নেতাকে লাঞ্ছিত করেছে এবং দুই কর্মীকে হল থেকে বের করে দিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরের খাবারের সময় মতিহার হলের ক্যান্টিনে বসা নিয়ে শান্ত ও জাহিদের মধ্যে ঝগড়া হয়। 

ঝগড়ার জেরে দুপুর আড়াইটার দিকে হলের ছাত্রলীগ নেতারা জাহিদের রুমে গিয়ে তাকে ও তার রুমমেট রিফাতকে মারধর করে মতিহার হল থেকে বের করে দেয়।

ঘণ্টাখানেক পর জাহিদ ও রিফাতের ওপর হামলার নেতৃত্বদানকারী মতিহার হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর সাহা বঙ্গবন্ধু হলের সামনে হামলার শিকার হন।

বিকেল ৪টার দিকে ভাস্করের লোকজন কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের কাছে সাকিবুল হাসান বাকিকে আক্রমণ করে। বাকি রাবি ছাত্রলীগের একজন সদস্য এবং তিনি একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন।

এর আগে, গত অক্টোবরে রাবি ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি গঠনের বিরোধিতা করেছিল বাকি।

বাকি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা নতুন কমিটি গঠনের বিরোধিতা করায় তারা আমাদের ওপর ক্ষুব্ধ।'

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বাকিকে প্লাস্টিক চেয়ার এবং লোহার বেঞ্চ দিয়ে মারধর করা হচ্ছে।

রাবি প্রক্টর আসাবুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সন্ধ্যায় উভয় পক্ষই ক্যাম্পাসে মিছিল করে তাদের পেশিশক্তি প্রদর্শন করেছে।' 

'তবে আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং ক্যাম্পাসকে শান্ত রাখার চেষ্টা করছি', বলেন তিনি।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, 'মারামারির খবর শুনে পুলিশ ক্যাম্পাসে গিয়ে কিছুই দেখতে পায়নি।'

এ বিষয়ে জানতে রাবি ছাত্রলীগের একাধিক নেতার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়, তবে তারা কেউ সাড়া দেননি।

Comments

The Daily Star  | English
August 5 declared as July Mass Uprising Day

Govt declares August 5 as ‘July Mass Uprising Day’

It also declared August 8 as "New Bangladesh Day" and July 16 as "Shaheed Abu Sayed Day"

1h ago