বিশ্বকাপে ভরাডুবির পেছনে 'অন্য বিষয় নিয়ে কথাবার্তা'কে দায় দিলেন আকরাম

Akram Khan

কন্ডিশনে মিল থাকায় ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ নিয়ে ভালোভাবে পরিকল্পনা করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু আসরটি শুরুর আগে খেলার বাইরের অন্য বিষয় নিয়ে কথাবার্তা হওয়ায় ও অনেক বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোয় প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি তারা। এমনটাই মনে করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক আকরাম খান।

শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমকে আকরাম বলেছেন, ২০২৩ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ছিল তাদের, 'মনে হয় না বাংলাদেশ এত বাজে খেলেছে এর আগে। ৯৯'তে (নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপে) ছয়টা ম্যাচের দুটিতে জিতেছি। প্রত্যাশা বেশি ছিল। আমরা পরিকল্পনাও করেছিলাম অনেক ভালোভাবে। চার বছর আগে থেকেই শুরু করেছিলাম, যেহেতু ভারতে খেলা হবে, পরিবেশ আমাদের মতো হবে।'

প্রতিবেশী দেশে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে ভরাডুবির শিকার হয় বাংলাদেশ। লিগ পর্বের নয় ম্যাচের মাত্র দুটিতে জেতে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন দলটি। চমক জাগিয়ে সেই স্কোয়াডে ছিলেন না বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবাল। অথচ উত্তাল পরিস্থিতিতে সাকিব অধিনায়কত্ব পাওয়ার আগে তামিমই ছিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে কাপ্তান।

বিশ্বকাপ দলে তামিমের সুযোগ না পাওয়ার কারণ হিসেবে ফিটনেস ঘাটতির কথা উল্লেখ করেছিলেন নির্বাচকরা। যদিও এক ভিডিও বার্তায় সেই দাবি অস্বীকার করেন তামিম। পরবর্তীতে সাকিব এক সাক্ষাৎকারে পাল্টা জবাব দিয়ে তামিমের বক্তব্যকে 'শিশুসুলভ' হিসেবে অভিহিত করেন। সবকিছু মিলিয়ে চরম নেতিবাচক আবহ সঙ্গে নিয়েই ভারতে খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এর প্রমাণ মেলে বিশ্বকাপের হতশ্রী পারফরম্যান্সে।

কারও নাম সরাসরি উল্লেখ না করলেও এরকম কথার লড়াইকে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের ভালো না করার জন্য দায়ী করেন আকরাম, 'আমরা সত্যি কথা বলতে কী... অনেকে কথায় জিততে চায়। এজন্য দেশের পারফরমান্স ওরকম ভালো হয় না। খেলোয়াড়দের উচিত মাঠে গিয়ে পারফর্ম করা। সে জিনিসটা আমরা করতে পারিনি। মাঠের বাইরে অনেক বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছি। এটা সবার বোঝা উচিত ছিল। কারণ এই দেশ কারো ব্যক্তিগত না, সবার। যদি বাংলাদেশ ভালো করে, সবার ভালো লাগবে। কেউ যদি নিজেরা নিজেদের মতো করতে চায়, তাহলে তো এটা হবে না। এটা হওয়া উচিতও না। সব সময় আমি দেখেছি যখন একটা মেজর টুর্নামেন্ট হয়, তখন খেলা ছাড়া খেলার বাইরের জিনিসগুলো নিয়ে অনেক বেশি কথাবার্তা বলি। এজন্য সবাই চাপে পড়ে যায়।'

বিশ্বকাপে ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায় বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। মেহেদী হাসান মিরাজকে উপরে খেলিয়ে সুফল না পাওয়ায় হয় অনেক সমালোচনাও।

সাবেক ক্রিকেটার আকরাম আরও মনে করেন, বিশ্বকাপের আগে থেকেই যে অদল-বদলের যে ধারা চলছিল, সেটাই পরে বিপাকে ফেলেছে দলকে, 'অনেক আশা ছিল আমাদের। একটা দেশে যদি খেলার আগে এত কথাবার্তা হয় অন্য বিষয় নিয়ে, তো ওই দল কোনোদিন ভালো করতে পারবে না। এটা আমি এশিয়া কাপেও বলেছিলাম। বিশ্বকাপের আগে এটা একটা ভালো টুর্নামেন্ট, যারা অংশ নেবে তাদের জন্য। কিন্তু ওখানে আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পুরো দলকে দাঁড় করাতে পারিনি। শেষ পর্যন্ত একটা দলই আমরা দাঁড় করাতে পারিনি। এত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করলে আমার মনে হয় না কোনো দেশ ভালো করবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Stocks fall on poor performance of large companies

Indexes of the stock market in Bangladesh declined yesterday on rising the day before, largely due to the poor performance of Islami Bank Bangladesh along with the large-cap and blue-chip shares amid sales pressures..Large-cap refers to shares which account for large amounts in market capi

2h ago