এমসিসিআইয়ের নতুন পরিচালনা পর্ষদ

এমসিসিআই, মেট্রপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্টি, সিমিন রহমান, ট্রান্সকম লিমিটেউ, কামরান তানভিরুর রহমান, হাবিবুল্লাহ এন. করিম,
কামরান তানভিরুর রহমান, হাবিবুল্লাহ এন. করিম এবং সিমিন রহমান। ছবি: সংগৃহীত

মেট্রপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্টি, ঢাকার (এমসিসিআই) ২০২৪ সালের জন্য সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কামরান তানভিরুর রহমান। হাবিবুল্লাহ এন. করিম সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট এবং সিমিন রহমান সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।

গত ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নতুন বোর্ডের প্রথম সভায় পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা কামরান তানভিরুর রহমানকে সভাপতি নির্বাচিত করেন।

আজ বৃহস্পতিবার এমসিসিআইয়ের ১১৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) এ তথ্য জানানো করা হয়।

কামরান তানভিরুর রহমান বাংলাদেশের পাট ও চা খাতের একজন নেতৃস্থানীয় উদ্যোক্তা। তিনি পূবালী জুট মিলস লিমিটেড ও কাপনা টি কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি ২০২৩-২০২৫ মেয়াদে বাংলাদেশ চা অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান। এছাড়া অ্যাডভান্সড ক্যামিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও একই গ্রুপের কিছু সাবসিডিয়ারির স্বতন্ত্র পরিচালক। তিনি ২০২২ ও ২০২৩ সালে এমসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং ২০১৩ সালে সহ-সভাপতি ছিলেন।

হাবিবুল্লাহ এন. করিম টেকনোহেভেন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি ২০০৮-২০০৯ এবং ২০০২-২০০৩ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি ছিলেন। ২০১৯-২০২১ সালে বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সিমিন রহমান দেশের অন্যতম বৃহৎ ও বৈচিত্রময় সংগঠন ট্রান্সকম লিমিটেডের গ্রুপ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি ট্রান্সকম গ্রুপের আওতাধীন সব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য এবং পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা নিয়ন্ত্রক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ট্রান্সকম লিমিটেড মিডিয়াওয়ার্ল্ড লিমিটেড (দেশের শীর্ষস্থানীয় ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের প্রকাশক), রিলায়েন্স ইনস্যুরেন্স লিমিটেড, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স পিএলসি, আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমেটেড এবং পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের অন্যতম প্রধান স্টেকহোল্ডার।

সিমিন রহমান দেশের অন্যতম বৃহৎ ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসকায়েফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডসহ ট্রান্সকম সাবসিডিয়ারির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। ৬৭টির অধিক দেশে ওষুধ রপ্তানিকারী এসকায়েফ হলো বিশ্বের প্রথম কোম্পানি যারা নভো নরডিস্কের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করে আধুনিক পেন-ফিল ইনস্যুলিন তৈরি করে। এছাড়া করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রথম জেনেরিক রেমডেসিভির, মোলনুভপিরাভির ও প্যাক্সলোভিড চালু করেছে। এসকায়েফ তার ইনজেকশনযোগ্য এবং সেবনযোগ্য ঔষধের জন্য মার্কিন এফডিএ অনুমোদনপ্রাপ্ত বাংলাদেশের প্রথম এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কোম্পানির মধ্যে অন্যতম।

এছাড়াও তিনি ট্রান্সকম বেভারেজ লিমিটেড (পেপসিকো বেভারেজের এক্সক্লুসিভ ফ্র্যাঞ্চাইজি), ট্রান্সকম কনজিউমার প্রোডক্টস লিমিটেড (বিশ্বের প্রথম পেপসিকো ফুডস ফ্র্যাঞ্চাইজি) এবং বাংলাদেশের সর্ব বৃহৎ ডিস্টিবিউশন কোম্পানি ট্রান্সকম ডিস্টিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, মিডিয়াস্টার লিমিটেডের (দেশের সর্বাধিক প্রচারিত ও স্বনামধন্য সংবাদপত্র দৈনিক প্রথম আলোর প্রকাশক) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও।

সিমিন রহমান ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশের (আইসিসি-বাংলাদেশ) নির্বাহী বোর্ডের সদস্য। তিনি ফারাজ হোসেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

এমসিসিআই পরিচালনা পর্ষদের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- মডার্ন ইন্ডাস্ট্রিজ (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ তারেক মো. আলী, শেলটেক (প্রা.) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভির আহমেদ, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসের এজাজ বিজয়, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক উজমা চৌধুরী, অ্যাডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক  ড. আরিফ দৌলা, পিকার্ড বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সায়ফুল ইসলাম, সাতগাঁও টি এস্টেটের ম্যানেজিং পার্টনার আরদাশীর কবির, ডব্লিউ অ্যান্ড ডব্লিউ গ্রেইনস করপোরেশনের পরিচালক আনিস এ খান, রহমান রহমান হকের সিনিয়র পার্টনার আদিব হোসেন খান, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান জনাব গোলাম মাইনুদ্দিন, এম. জে. আবেদিন অ্যান্ড কোম্পানির অংশীদার হাসান মাহমুদ।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

5h ago