ঋণখেলাপির অভিযোগ, বিকল্পধারার মহাসচিব আবদুল মান্নানের মনোনয়ন বাতিল

আবদুল মান্নান। ছবি: সংগৃহীত

ঋণখেলাপির অভিযোগে নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর উপজেলা) আসনে বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান এবং নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মামুনুর রশিদ কিরনের মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

আজ রোববার দুপুরে যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান তার মনোনয়ন বাতিল করেন। 

রিটার্নিং কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ঋণখেলাপির অভিযোগে আবদুল মান্নানের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।

এর আগে, সকাল থেকে জেলার আরও দুটি আসনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

নোয়াখালী-৪ আসনে মোট ৯ প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেন। তাদের মধ্যে মেজর (অব.) আবদুল মান্নানসহ ৪ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়।

বাতিল হওয়া অপর প্রার্থীরা হলেন-গণতন্ত্রী পার্টির সারওয়ার ই দীন, জাসদের এস এম রহিম উল্যাহ ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো. জিহাদ চৌধুরী।

মেজর (অব.) আবদুল মান্নানের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট মো. সব মামলা স্থগিত এবং ঋণ হালনাগাদ করা আছে। মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে আপিল করা হবে।

এ আসনে আওয়ামী লীগের একরামুল করিম চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি  অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন, জাতীয় পার্টির মোবারক হোসেন আজাদ, জাকের পার্টির মো. সোহরাব উদ্দিন ও ইসলামী ফ্রন্টের মো. আবদুল আলীমের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

নোয়াখালী-৩

এদিকে নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মামুনুর রশিদ কিরনের মনোনয়ন বাতিল করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী ঋণ খেলাপি হওয়ায় মামুনুর রশিদ কিরনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। 

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, '৩০ নভেম্বর মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিনও বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো (সিআইবি) রিপোর্ট অনুযায়ী মামুনুর রশিদ কিরন একজন ঋণ খেলাপি। তাই তার মনোনয়নপত্র আইন অনুযায়ী বৈধ বলার সুযোগ নেই।'

জানতে চাইলে মামুনুর রশিদ কিরন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমাদের প্রতিষ্ঠানের নামে যতোগুলো ঋণ আছে তার সবগুলোই নিয়ম অনুযায়ী হালনাগাদ আছে। সব কাগজপত্র আমাদের কাছে আছে। সবকিছু বলার পরও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়ন বাতিল করেছেন। আমি আপিল করব। আশা করি মনোনয়ন ফিরে পাব।'

Comments

The Daily Star  | English
Prof Yunus in Time magazine's 100 list 2025

Prof Yunus named among Time’s 100 Most Influential People of 2025

A tribute article on Prof Yunus was written by Hillary Clinton for the magazine

1h ago