শচিনকে ছাড়িয়ে যে অপ্রত্যাশিত রেকর্ড এখন মুশফিকের একার

Mushfiqur Rahim
ছবি: একুশ তাপাদার

দুই যুগের দীর্ঘ ও বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে সব মিলিয়ে শচিন টেন্ডুলকার খেলেছেন ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৬৬৪ ম্যাচ। এর মধ্যে ভারতের কিংবদন্তি তারকা হেরেছেন ২৫৬টিতে। এতদিন হারের এই পরিসংখ্যানে শচিনের সঙ্গে একই বিন্দুতে ছিলেন মুশফিকুর রহিম। তবে মিরপুর টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের হারে এককভাবে শীর্ষে উঠে গেছেন মুশফিক।

শনিবার শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অপ্রত্যাশিত এক রেকর্ডের একক মালিকানা পেয়েছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে অভিষেকের পর তিন সংস্করণ মিলিয়ে এটি তার ২৫৭তম হার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এতগুলো ম্যাচ হারার নজির নেই আর কোনো ক্রিকেটারের। যদিও ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে তিনি ম্যাচ খেলেছেন শচিনের চেয়ে অনেক কম— ৪৫৫টি।

মুদ্রার উল্টো পিঠও দেখেছেন 'মিস্টার ডিপেন্ডেবল' খ্যাত ৩৬ বছর বয়সী মুশফিক। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ম্যাচ জেতার রেকর্ড তার। তার ১৭৬টি জয়ের চেয়ে বেশিবার শেষ হাসি হাসার কীর্তি আছে কেবল সাকিব আল হাসানের। তারকা অলরাউন্ডার সাকিব ৪৩০ ম্যাচের ১৭৭টিতে জেতার স্বাদ পেয়েছেন।

সব সংস্করণ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারার তালিকায় মুশফিক ও শচিনের পর তৃতীয় স্থানে আছেন মাহেলা জয়াবর্ধনে। শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক ২৪৯ ম্যাচে হারের তেতো অভিজ্ঞতা পেয়েছেন। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তিনি খেলেছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬৫২ ম্যাচ।

সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের (১৫১৯২ রান) পর বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের অধিকারী মুশফিক। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে তার রান ১৪৭৮৪। দলের অনেক গৌরবময় ও স্মরণীয় জয়ের নায়ক তিনি। কিন্তু যখন তিনি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন, তখন একেকটি জয়ের দেখা পেতে বাংলাদেশকে অনেক অপেক্ষায় থাকতে হতো। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে মুশফিকের জয়ের পরিসংখ্যানে।

আরও খোলাসা করে বলা যাক। ২০০৫ সালের মে মাসে অভিষেকের পর ২০১০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত— ক্যারিয়ারের প্রথম পাঁচ বছরে মোট ১০৩ ম্যাচ খেলে ৬৮টিতেই হারতে হয় মুশফিককে। পরাজয়ের হার ছিল শতকরা ৬৬.০২ ভাগ। এরপর থেকে এই পর্যন্ত খেলা ৩৫২ ম্যাচে ১৮৯টিতে হেরেছেন মুশফিক। তার পরাজয়ের হার শতকরা ৫৩.৬৯ ভাগ।
 

Comments

The Daily Star  | English
US tariffs impact on Bangladesh economy

Can Bangladesh ride out the wave of US tariffs?

Trump's announcement sent businesses scrambling. Orders froze. Buyers demanded discounts. Stock markets plummeted.

13h ago