গাজা পরিস্থিতি নিয়ে বানানো বিতর্কিত বিজ্ঞাপন সরিয়ে নিল জারা

জারা
একটি ছবিতে দেখা গেছে ম্যাকমেনামি সাদা কাপড়ে মোড়ানো ম্যানেকিন কাঁধে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। ছবি: জারার সৌজন্যে

তীব্র সমালোচনা ও প্রতিবাদের মুখে ওয়েবসাইট থেকে নতুন অ্যাড ক্যাম্পেইন সরিয়ে নিয়েছে মুখে জনপ্রিয় পোশাক ব্র্যান্ড জারা।

অ্যাড ক্যাম্পেইনটি প্রকাশের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

অনেকেই বলছেন, অ্যাড ক্যাম্পেইনের ছবিগুলোতে ইসরায়েল-গাজার সংঘাতকে হেয় করা হয়েছে। তবে জারা কর্তৃপক্ষের দাবি, এটি পুরোপুরি ভুল বোঝাবুঝি। কারণ ক্যাম্পেইনের ছবিগুলি ৭ অক্টোবরের আগে তোলা।

এ বিষয়ে জারার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে।

ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুর্ভাগ্যবশত ক্যাম্পেইনের ছবিগুলো দেখে অনেক গ্রাহক মর্মাহত হয়েছেন। ছবিগুলো এখন সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ছবিগুলো তোলার সময় কারো অনুভূতিতে আঘাত করার উদ্দেশ্য ছিল না।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, 'ছবিগুলোর আইডিয়া জুলাই মাসে অনুমোদিত হয়েছে। ছবিগুলো সেপ্টেম্বর মাসে, সংঘাত শুরুর আগে, তোলা হয়েছে।'

ক্যাম্পেইনের জন্য টিম ওয়াকারের তোলা ছবিগুলোতে মডেল ছিলেন ক্রিস্টেন ম্যাকমেনামি। জারা বলছে, ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডটি মূলত একজন ভাস্করের স্টুডিওর আদলে বানানো হয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের মনে হয়েছে গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসন ও নির্বিচারে চালানো গণহত্যাকে উপহাস করা হয়েছে।

গাজা পরিস্থিতি নিয়ে জারার বিতর্কিত বিজ্ঞাপন
গাজা পরিস্থিতি নিয়ে জারার বিতর্কিত বিজ্ঞাপন। ছবি: জারার সৌজন্যে

একটি ছবিতে দেখা গেছে ম্যাকমেনামি সাদা কাপড়ে মোড়ানো ম্যানেকিন কাঁধে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। অন্য কয়েকটি ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডে বেশ কিছু ভাঙা ভাস্কর্য ও প্লাস্টারবোর্ড দেখা যাচ্ছিল।

জারার মন্তব্য অনুযায়ী, ছবিগুলোর একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল শৈল্পিক দৃষ্টিকোণ থেকে তৈরি পোশাক শিল্পকে দেখানো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটার) তীব্র সমালোচনার পাশাপাশি #বয়কটজারা ট্রেন্ড শুরু হয়েছিল।

এক্সে একজন ব্যবহারকারী তার পোস্টে লিখেছেন, 'ওরা (জারা) আমাদের নিয়ে, হত্যার শিকার শিশু ও আমাদের ধ্বংস হয়ে যাওয়া ঘরবাড়ি নিয়ে মজা করছে।'

যুক্তরাজ্যের 'অ্যাডভারটাইজিং স্ট্যান্ডার্ডস অথোরিটি' তথ্য অনুযায়ী, এই ক্যাম্পেইনের বিরুদ্ধে ১১০টি অভিযোগ এসেছে যেখানে বলা হয়েছে ক্যাম্পেইনের ছবিগুলো অত্যন্ত আপত্তিকর ও ইসরায়েল-গাজার চলমান সংঘাতকে নির্দেশ করে।

গত মাসে, এমএস ব্র্যান্ডও একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে। পোস্টের ছবিতে দেখা গেছে লাল, সবুজ ও রূপালি রঙের কয়েকটি ক্রিসমাস হ্যাট পোড়ানো হচ্ছে। ফিলিস্তিনের পতাকার রঙের টুপি পোড়ানোর অভিযোগ এনে অনেকেই ব্র্যান্ডটির সমালোচনা করে। পরবর্তীতে ছবিটি সরিয়ে নেয় কর্তৃপক্ষ ও ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দেয়।

Comments

The Daily Star  | English

JnU students vow to stay on streets until demands met

Jagannath University (JnU) students tonight declared that they would not leave the streets until their three-point demand is fulfilled

4h ago