মা হওয়াটাও একটা জব: মেহজাবীন

মেহজাবীন। ছবি: সংগৃহীত

মেহজাবীন অভিনীত অনন্যা নাটকটি সম্প্রতি প্রচারিত হয়েছে। এই নাটকের জন্য প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। চলতি বছর তার অভিনীত মাত্র দুটি নাটক প্রচার হয়েছে। বছরের শুরুতে প্রচার হয়েছিল 'কাজলের দিনরাত্রি' এবং বছরের শেষে প্রচার হলো 'অনন্যা'।

'অনন্যা'য় কর্মজীবী মায়ের চরিত্রটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ইতিবাচক আলোচনা চলছে।

দ্য ডেইলি স্টারকে মেহজাবীন বলেন, 'সত্যি কথা বলতে নাটক কম করছি। এটা সবাই জানেন। "অনন্যা" নাটকটি প্রচার হওয়ার পর প্রচুর সাড়া পাচ্ছি, বিশেষ করে মেয়েরা বেশি পছন্দ করেছেন। তাদের মতামত বেশি পাচ্ছি।'

মেহজাবীন চৌধুরী, দ্য সাইলেন্স, ভিকি জাহেদ,
মেহজাবীন চৌধুরী। স্টার ফাইল ফটো

তিনি বলেন, 'আমার কাছে অনন্যা চরিত্র একটা যুদ্ধ। অনন্যার সংগ্রাম এবং সাফল্যটা একটা বিজয়। অনন্যা ফ্রিডমের গল্প। একজন মেয়ে কারো ওপর নির্ভর হতে চায় না।'

'অনন্যা' নাটকটি পরিচালনা করেছেন মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। নাটকটি লিখেছেন জাহান সুলতানা।

মেহজাবীন বলেন, 'কাজলের দিনরাত্রি নাটকটি জাহান সুলতানার লেখা। "অনন্যা"র গল্পটাও তারই লেখা। জাহান সুলতানার কাছ থেকে এর গল্প শোনার পরই ভালো লেগে যায়। অনেক চিন্তা করে তিনি নাটকটি লিখেছেন।'

'অনন্যা' নাটকে ছোট্ট একটি শিশু মেহজাবীনের সন্তানের চরিত্রে অভিনয় করেছে। তার সম্পর্কে মেহজাবীন বলেন, 'নাটকের একটি দৃশ্য ছিল, আমি অফিসে যাব এবং সঙ্গে সঙ্গে বাবু আমার শাড়ির আঁচল টেনে ধরবে। এটা নিয়ে সবাই টেনশনে ছিলাম। কীভাবে এটা সম্ভব? কিন্তু অবাক করার বিষয় হলো এক টেকেই দৃশ্যটা চূড়ান্ত হয়।'

মেহজাবীন। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, 'বাচ্চাটার জন্য মায়া তো কাজ করছেই। ইউনিটের সবাই ওর মায়ায় জড়িয়ে গেছে, আমিও। সবচেয়ে বড় বিষয় ছিল, বাচ্চাটার দৃশ্যগুলো আগে আগে করে যেন তাকে ছেড়ে দেওয়া যায়, এটা নিয়ে সবাই ভাবতেন।'

মায়ের চরিত্রে অভিনয় বিষয়ে মেহজাবীন বলেন, 'মা হওয়াটাও একটা জব। কেননা তার ডিউটি ছয় ঘণ্টা বা আট ঘণ্টা নয়, পুরো ২৪ ঘণ্টা। একজন মাকে ২৪ ঘণ্টাই ডিউটি করতে হয় সন্তানের জন্য। চরিত্রটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম।'

'প্রত্যেক অফিসে ডে-কেয়ার থাকা উচিত। তাহলে মেয়েদের জন্য ভালো হয়।  একজন মেয়ে কত কষ্ট করে সন্তানকে লালন-পালন করছেন, সংসার সামলাচ্ছেন আবার চাকরিও করছেন। মনে হয় কত সহজ। আসলে মোটেও সহজ না। আমি মনে করি, সুযোগ দিলে মেয়েরা কর্মক্ষেত্রে আরও ভালো করবেন,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Beyond development paradox & unnayan without democracy

As Bangladesh seeks to recalibrate its path in the aftermath of recent upheavals, the time is ripe to revisit an oft-invoked but under-examined agenda: institutional reform. Institutions are crucial to understand, as they are foundational for governance, transformation, and economic development.

17h ago