আমি ছিলাম বিএনপির লাস্ট ঘোড়া: শাহজাহান ওমর
ঝালকাঠি-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ শাহজাহান ওমর বলেছেন, তিনি বিএনপির রাজনীতিতে 'লাস্ট ঘোড়া' ছিলেন।
আজ রোববার বিকেলে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার রাজাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ওই উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
শাহজাহান ওমর বলেন, 'আমি বিএনপিতে অন্যতম ঘোড়া ছিলাম। এখন বিএনপিতে আর কোনো ঘোড়া নাই। লাস্ট হর্স। আমার আগেও কিছু কিছু ঘোড়া চলে গেছে। বিএনপিতে এখন আছে ভেড়ার দল। অনেক ভেবে দেখলাম এখন আর এই দল করা যায় না।'
তিনি আরও বলেন, 'রাজনীতিও আবর্তনশীল। দেশের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, ভৌগোলিক সীমানার স্বার্থে, স্বাধীনতার স্বার্থে, সার্বভৌমত্বের স্বার্থে, জনকল্যাণের স্বার্থে রাজনীতিও বিবর্তন করে।'
'যারা ভাবছেন, শাহজাহান ওমর এত বছর বিএনপি করে হঠাৎ আওয়ামী লীগে চলে আসলG ব্যাপারটা কী? প্রশ্ন আমার না, প্রশ্ন বিবর্তনের। সময়ের প্রয়োজনে আমি এখানে এসেছি', যোগ করেন তিনি।
শাহজাহান ওমর বলেন, 'আমি মনে করি বর্তমান এই সময়ে আয়রন লেডি শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা দরকার। কারণ এই দেশ নিয়ে কিছু কুচক্রী মহল, কিছু দেশ বিভিন্ন রকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। স্যাংশন, ভিসা, আমাদের গার্মেন্টস নেবে না, আমাদের সেনাবাহিনী বিদেশ থেকে পাঠিয়ে দিবে, আমাদের অর্থনৈতিক চাপ দেবে, দেশে আর একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ জোরদার করার প্রয়াস এসেছে।'
এসব ঘটনায় দেশেরও কিছু লোকজন জড়িত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
'যিনি এ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য নিজের প্রাণ বিসর্জন দিতে বিলম্ব করবেন না, তিনি হলেন নেত্রী শেখ হাসিনা। আমি তার সঙ্গে জয়েন করেছি', তিনি বলেন।
শাহজাহান ওমর আরও বলেন, 'আমার ব্যক্তিগত কোনো লোভ লালসা নাই। আমি চারবার এমপি হয়েছি। (স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়) আমার কোনো বর্ডার ছিল না। আমার বর্ডার উত্তরে ফরিদপুর, ওই পাড়ে খুলনা, ওই পাড়ে নোয়াখালী আর ওই পাড়ে বঙ্গোপসাগর। আমাকে দেশের মধ্যে থেকেই যুদ্ধ করতে হয়েছে। তখনই আমি রাজনীতি শিখেছি। তখনই কীভাবে সংগঠন করতে হয় আমি শিখেছি।'
শাহজাহান ওমর বলেন, 'এই জাতির পিছনে মহা মহা শত্রু লাগছে। কী কারণে তা এখন নাই বললাম।'
ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। নাশকতা মামলায় গত ২৯ নভেম্বর জামিন পান তিনি। এরপর আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র তোলেন। পরে বিএনপি থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।
Comments