বগুড়া

বাড়ি ফিরেছেন ‘নিখোঁজ’ বিএনপি নেতা আনোয়ার, পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন দেলোয়ার

খোঁজ মিলেছে বগুড়ার কাহালু উপজেলা থেকে নিখোঁজ দুই বিএনপি নেতার। তাদের পরিবার সূত্রে আজ বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানা গেছে।

তারা হলেন-উপজেলা বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ওরফে হৃদয় (৪০) ও  ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন (৫০)।

পরিবারের দাবি, গত ১৪ ডিসেম্বর ডিবি পুলিশের হাতে আটকের পর থেকে তারা নিখোঁজ ছিলেন। 

তাদের খোঁজ জানতে চেয়ে গতকাল একটি রুল জারি করেন হাইকোর্ট। 

এর মধ্যে আনোয়ার হোসেন ওরফে হৃদয় আজ ভোর ৫টার দিকে বাড়ি ফেরেন বলে তার ভাতিজা নুর নবী দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন।

পরিবার বলছে, ফিরে এলেও তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কিছু বলছেন না আনোয়ার।

এদিকে, আরেক বিএনপি নেতা দেলোয়ার গতকাল রাতে তার স্ত্রীর সঙ্গে নিজ ফোন নম্বর থেকে যোগাযোগ করেছেন।

দেলোয়ারের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন আজ বিকেলে ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'গতকাল রাত ৯টার দিকে আমার বাবা তার মোবাইল নম্বর থেকে আমার মাকে ফোন করেন। বাবা নিরাপদে আছেন এবং আরও কয়েকদিন নিজেকে আড়ালে রাখতে চান বলে জানিয়েছেন।'

সাখাওয়াত আরও বলেন, 'বাবা তার নিখোঁজ থাকার বিষয়ে কিছু বলেননি। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে তাকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়েছিল।'

যোগাযোগ করা হলে কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আনোয়ারের পরিবার নিশ্চিত করেছে যে তিনি বাড়ি ফিরেছেন।'

'কিন্তু দেলোয়ার এখনো নিখোঁজ। তিনি এখন কোথায় অবস্থান করছেন, সে বিষয়ে তার পরিবারের সদস্যরা কিছু জানাতে পারেনি,' বলেন ওসি।

নিখোঁজের ঘটনায় গত মঙ্গলবার আনোয়ারের ভাগ্নে নুরুন্নবী ও দেলোয়ারের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন আইনজীবীর মাধ্যমে হাইকোর্টে পৃথক দুটি রিট করেন।

তারা জানান, গত ১৪ ডিসেম্বর বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন ও দেলোয়ার হোসেনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আটক করলেও, তাদের কোনো আদালতে হাজির করা হয়নি।

তারা এ ব্যাপারে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

6h ago