বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর

বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়ানোর পর বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি

বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ড
ছবি: এএফপি

পাওয়ার প্লেতে নিউজিল্যান্ড তুলল ওভারপ্রতি গড়ে ৯ রান। ওপেনার টিম সাইফার্ট আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করে দলকে দিলেন ভালো শুরু। পরের গল্পটা বাংলাদেশের বোলারদের ঘুরে দাঁড়ানোর। সাইফার্টের ঝড় থামিয়ে প্রতিপক্ষের রানের চাকায় লাগাম টানলেন তারা। কিন্তু তারপর বেরসিক বৃষ্টিতে বন্ধ হওয়া খেলা আর চালুই হতে পারল না। ভেস্তে গেল দুই দলের তিন ম্যাচ সিরিজের টি-টোয়েন্টি।

শুক্রবার মাউন্ট মঙ্গানুইতে অবিরাম ঝরতে থাকা বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছে খেলা। বাংলাদেশ সময় অনুসারে দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে আম্পায়াররা দেন এই ঘোষণা। অন্তত ৫ ওভারের ম্যাচ হওয়ার জন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা ২৮ মিনিটের মধ্যে খেলা শুরু করতেই হতো। কিন্তু বৈরি আবহাওয়ার পরিস্থিতি বুঝে আধা ঘণ্টা আগেই ইতি টানা হয়।

ফলে নিশ্চিত হয়েছে যে, চলমান সিরিজ আর কোনোভাবেই হারছে না বাংলাদেশ। পাশাপাশি টিকে আছে নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বাধীন দলের সিরিজ জয়ের সম্ভাবনাও।

২০১০ সালে প্রথমবার নিউজিল্যান্ডের মাটিতে তাদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলে হেরেছিল বাংলাদেশ। ওই সফরে ম্যাচ ছিল ওই একটি। এরপর ২০১৭ সালে ও ২০২১ সালে তাসমান সাগর পাড়ের দ্বীপদেশটিতে সফর করে দুবারই টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে বিধ্বস্ত হয়েছিল তারা।

সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ টস জিতে ব্যাটিংয়ে পাঠায় স্বাগতিকদের। বৃষ্টির বাগড়ার আগে ১১ ওভারে ২ উইকেটে তারা স্কোরবোর্ডে জমা করতে পারে ৭২ রান। ক্রিজে ছিলেন ড্যারিল মিচেল ২৪ বলে ১৮ ও গ্লেন ফিলিপস ১৪ বলে ৯ রানে। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে দ্রুত রান তুলতে থাকা নিউজিল্যান্ডের সেই ধারা পরে বজায় রাখতে দেননি বাংলাদেশের রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, মোস্তাফিজুর রহমানরা। টানা ৫ ওভারে আসেনি কোনো বাউন্ডারি। সেসময় মাত্র ১৮ রান তুলতে কিউইরা হারায় সাইফার্টের উইকেট।

দ্বিতীয় ওভারেই উইকেটের উল্লাস করেছিল বাংলাদেশ। নতুন বলে ধারাবাহিকভাবে ভালো করতে থাকা বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামের বলে আউট হন ফিন অ্যালেন। ৫ বলে ২ রান করা ওপেনারের ক্যাচ এক্সট্রা কভারে নেন রিশাদ। এরপর দ্বিতীয় উইকেটে সাইফার্ট ও মিচেল গড়েন ৩৬ বলে ৪৯ রানের জুটি।

সাইফার্ট অবশ্য ওই ওভারেই সাজঘরে ফিরতে পারতেন। পঞ্চম বলে মিচেলের সজোরে ড্রাইভ করা বল সাইফার্টের হেলমেটে লাগলে পপিং ক্রিজের বাইরে মাটিতে পড়ে যান তিনি। আলগা বল সোজা চলে যায় শরিফুলের হাতে। চাইলেই স্টাম্প ভেঙে আউট করতে পারতেন তিনি। কিন্তু সেই পথে এগোননি। সাইফার্ট তখন ব্যাট করছিলেন ২ রানে।

সাইফার্ট শেষমেশ থামেন ৪৩ রানে। স্রেফ ২৩ বলের ইনিংসে ৬ চার ও ১ ছক্কা হাঁকান তিনি। অষ্টম ওভারে আক্রমণে ফেরা ডানহাতি পেসার তানজিমের স্লোয়ারে ঠিকমতো টাইমিং করতে না পেরে শান্তর তালুবন্দি হন তিনি। অনেক উঁচুতে ওঠা বল মিড অফ থেকে দৌড়ে গিয়ে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে লুফে নেন সফরকারী দলনেতা।

মিচেল ও ফিলিপস এরপর সুবিধা করতে পারেননি। বাংলাদেশের আঁটসাঁট বোলিংয়ে রান আনতে ভুগতে হয় তাদের। মিচেল ক্যাচের একাধিক সুযোগ দিয়েও বেঁচে যান। বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোয় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন লেগ স্পিনার রিশাদ। চাপ তৈরি করে ৩ ওভারে মাত্র ১০ রান খরচ করেন তিনি। তার ১৮ ডেলিভারির অর্ধেকই ছিল ডট। তিনি কোনো বাউন্ডারিও হজম করেননি। কিন্তু রোমাঞ্চ জমে উঠতে না উঠতেই হানা দেয় বৃষ্টি। শেষ পর্যন্ত জয় হয় প্রকৃতির।

আগামী রোববার একই ভেন্যুতে হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায়।

Comments

The Daily Star  | English

Govt accepted demands of JnU protesters: UGC chairman

University Grants Commission Chairman Prof SMA Faiz today said the government has accepted the demands of the protesting Jagannath University students

37m ago