রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া সৌম্যের চোখে অস্বস্তির কারণ কী?
নিউজিল্যান্ডকে স্রেফ ৯৮ রানে অলআউট করে দিয়ে ব্যাটিংয়ে সতর্ক শুরু করে বাংলাদেশ। প্রথম চার ওভার নির্বিঘ্নে পার হওয়ার পর তৈরি হয় ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি। পঞ্চম ওভারের পঞ্চম বল শেষে চোখে অস্বস্তি নিয়ে মাঠ ছেড়ে চলে যেতে হয় সৌম্য সরকার।
শনিবার নেপিয়ারে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ের ম্যাচে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে বেরিয়ে যান সৌম্য। আগের ওয়ানডেতে ১৬৯ রানের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলা বাঁহাতি ওপেনারকে তাই এদিন আগেভাগে থামতে হয়। ২২ মিনিট ক্রিজে থেকে ১৬ বল মোকাবিলায় তিনি করেন ৪ রান।
কিউই পেসার অ্যাডাম মিলনের করা ওই ওভারের চতুর্থ বলের পর সৌম্য চোখে সমস্যা বোধ করতে থাকেন। শুরুতে পানি দিয়ে চোখ পরিষ্কার করার চেষ্টা করলেও তাতে কাজ হয়নি। আরেকটি বল খেলার পর ফের অস্বস্তি লাগলে মাঠে যেতে হয় ফিজিওকে। এই দফায় চোখে ড্রপ দিয়েও সমাধান না আসায় বাধ্য হয়ে সৌম্যকে মাঠ ছাড়তে হয়।
সৌম্যের চোখে সমস্যার কারণ কী? নিউজিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড জানিয়েছে সেটার কারণ। তাদের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, সৌম্যের চোখে একটি পোকা উড়ে গিয়ে পড়েছিল। তাছাড়া, প্রথমবারের মতো নিজেদের মাঠে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কাছে হারা নিউজিল্যান্ড দলের বোলিং পারফরম্যান্সের সমালোচনায় তারা লিখেছে, সবুজ ঘাসে ঢাকা সুইং ও বাউন্সবান্ধব উইকেটে কিউই বোলাররা যতটা না সফরকারী ব্যাটারদের ভোগান্তিতে ফেলেছে, সেটার চেয়ে বেশি সমস্যা তৈরি করেছে স্থানীয় বন্যপ্রাণী।
ব্যাটিং থামিয়ে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সৌম্য সাজঘরে চলে গেলেও জিততে একদমই অসুবিধা হয়নি বাংলাদেশের। ২০৯ বল হাতে রেখে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৯ উইকেটে জিতেছে তারা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাঠে টানা ১৮ ওয়ানডে হারার পর ধরা দিয়েছে প্রথম জয়। যদিও প্রথম দুই ম্যাচ জেতায় সিরিজ আগেই পকেটে পুরে নিয়েছে ব্ল্যাকক্যাপসরা।
পেসারদের তাণ্ডবে পাওয়া স্মরণীয় জয়ে বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন অলরাউন্ডার সৌম্য নিজেও। শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিবের পাশাপাশি তিনিও নেন ৩ উইকেট। মিডিয়াম পেসে ৬ ওভারে একটি মেডেনসহ তিনি দেন কেবল ১৮ রান।
Comments