রাহুল গান্ধী দিলেন কমলার মারমালেড রেসিপি, বানাতে পারেন আপনিও

রাহুল গান্ধী
মারমালেড বানানোর ফাঁকে আলাপ করছেন সোনিয়া ও রাহুল। ছবি: সংগৃহীত

একেকজন একেকভাবে পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেন। তবে ভারতের কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী ব্যতিক্রমী উপায়ই বেছে নিলেন। গত বছরের শেষ দিনে মা সোনিয়া গান্ধীকে নিয়ে বাসায় তৈরি করলেন কমলার মারমালেড।

পুরো প্রস্তুতপ্রণালী নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করেছেন তিনি। ভিডিওতে রাহুল মজা করে বলেন, `বিজেপির লোকজন চাইলে তাদেরকেও এই মারমালেড দেওয়া হবে। জবাবে তার মা সোনিয়া গান্ধী বলেন, 'তারা এগুলো আমাদের দিকেই ছুড়ে মারবে!'

সাড়ে ৫ মিনিটের ভিডিওর শুরুতেই দেখা যায়, মাকে সঙ্গে নিয়ে বাগান থেকে কমলা সংগ্রহ করছেন রাহুল। এরপর কমলাগুলোকে কেটে রস সংগ্রহ করা হয়। শুরু হয় মারমালেড বানানোর প্রক্রিয়া।

ভিডিওতে রাহুলকে মারমালেড বানাতে দেখা গেলেও রেসিপিটি যে মূলত তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর, সেটি সবাইকে জানাতে ভোলেননি তিনি। এই মারমালেড তার মায়ের পছন্দের বলেও উল্লেখ করেন রাহুল।  

ছেলে হিসেবে রাহুল কেমন এ প্রশ্নের জবাবে ভিডিওতে সোনিয়াকে বলতে শোনা যায়, 'খুবই জেদি। অবশ্য আমিও জেদি। আমরা দুজনই জেদি। বুঝতেই পারছেন কী পরিস্থিতি!'

শরীর খারাপ থাকলে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা দুজনই তার খুব যত্ন নেন বলে জানান সোনিয়া। ভারতে আসার পর ভারতীয় খাবার, বিশেষ করে ঝালের সঙ্গে মানিয়ে নিতে কষ্ট হয়েছে সোনিয়ার। ধনেপাতাও খেতে পারতেন না তিনি। এখন বিদেশ থেকে ভারতে ফিরেই প্রথমে ডাল-ভাত খেতে ভোলেন না কংগ্রেস নেত্রী।

রাহুল বলেন, তার মা প্রথমে আচার পছন্দ না করলেও এখন অনেক পছন্দ করেন।

রাহুল জানান, ইংল্যান্ডে পড়ার সময় থেকেই রান্না শিখতে শুরু করেন তিনি।

'কারণ কোনো উপায় ছিল না। তাই এখন অনেক কিছু জানি। প্রয়োজন হলে রান্নাও করি। খাবার নিয়ে প্রচুর রাজনীতি হয়। খাবার নিয়ে মহাত্মা গান্ধী আলাদা ধারণা ছিল। নিরামিষাশী ছিলেন, ছাগলের দুধ খেতেন। আমারও নিজের আলাদা খাদ্যাভাস আছে', বলেন তিনি।

মা-ছেলের আলাপ চলতে চলতেই কমলার মারমালেড তৈরির পুরো প্রক্রিয়া দেখানো হয় ভিডিওতে।

চলুন এবার জেনে নিই ঘরে বসে কীভাবে রাহুল গান্ধীর মতো কমলার মারমালেড তৈরি করবেন-

  • কমলা খুব ভালো করে ধুয়ে নিন। এরপর সেগুলোকে কেটে রস সংগ্রহ করুন। খোসা ও বীজ আলাদা করে রাখুন।
  • খোসাগুলোকে আপনার পছন্দমতো পুরুত্বে টুকরা করুন। বীজগুলোকে জালি কাপড় বা মসলিনের কাপড়ে বেঁধে রাখুন।
  • টুকরো করা খোসা, কমলা রস এবং বেঁধে রাখা বীজগুলো একটি বড় পাত্রে রেখে পানিতে ফোটান। তারপর প্রায় ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা ধরে আস্তে আস্তে সেদ্ধ করুন। এক পর্যায়ে খোসা একদম নরম হয়ে যাবে।
  • এবার বীজের ব্যাগটি পাত্র থেকে সরিয়ে ফেলুন। পাত্রে চিনি যোগ করুন এবং খোসা সম্পূর্ণ গলে যাওয়া পর্যন্ত ভালো করে নাড়ুন।
  • পুরো মিশ্রণটি ফোটাতে থাকুন। যতক্ষণ এটি জ্যামের মতো না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ফোটাতে থাকুন। পছন্দসই ঘনত্বে পৌঁছানোর পর চুলা থেকে সরিয়ে কিছুক্ষণ ঠান্ডা করুন।
  • এবার পরিষ্কার এয়ার-টাইট কাঁচের বোতলে জ্যামগুলো ঢালুন। কাঁচের বোতলগুলোকে ঠান্ডা স্থানে সংরক্ষণ করুন।

তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

গ্রন্থনা: আহমেদ হিমেল

 

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

9h ago