৪১.৮ শতাংশ ভোট পড়েছে, এটা সোজা কথা নয়: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহাসমাবেশে সভাপতির ভাষণ দেন। ছবি: বাসস

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, তার দল আবার ক্ষমতায় আসায় বাংলাদেশের সমৃদ্ধির পথে অগ্রগতিতে কেউ বাধা সৃষ্টি করতে পারবে না।

তিনি বলেন, 'আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসায় কেউ বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।'

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহাসমাবেশে সভাপতির ভাষণে এ কথা বলেন।

পাকিস্তানের কারাগারে ২৯০ দিন কারাভোগের পর জাতির পিতার স্বাধীন স্বদেশ ভূমিতে ফিরে আসার মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জনের পূর্ণতা লাভের এই দিনটিকে গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন উপলক্ষে আনন্দের দিন হিসেবে পালন করছে আওয়ামী লীগ।

নির্বাচনে ২৯৮টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ এককভাবে ২২২টি আসনে জয়লাভ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যদি সরকারে না আসত, তাহলে কিন্তু এই দেশ আর এগোতে পারত না।

আজকে আওয়ামী লীগের এমপিদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নির্বাচনে আমরা জয়লাভ করেছি এবং আজকে পার্লামেন্টারি পার্টির সভায় আমাকে সর্বসম্মতিক্রমে তাদের নেতা নির্বাচিত করা হয়েছে।

তিনি সংসদ সদস্যদের প্রতি তার ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, সংবিধান অনুযায়ী এখন রাষ্ট্রপতির কাছে তিনি চিঠি দেবেন, কেননা সরকার গঠন করার জন্য অনুমতি নিতে হবে এবং এই সমাবেশের পরেই বঙ্গভবনে যাবেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি আওয়ামী লীগ আজকে ক্ষমতায় ফিরেছে বলেই বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা সেই অগ্রযাত্রা আর কেউ ব্যাহত করতে পারবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, অনেকেরই অনেক রকম স্বপ্ন আছে। অনেকেই এই নির্বাচন বন্ধ করতে চেয়েছিল কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচনে মানুষ যেন ভোট দিতে না আসে, সেটা ঠেকাতে চেয়েছিল। কিন্তু তারপরেও ৪১ দশমিক ৮ ভাগ ভোট পড়েছে। এটা সোজা কথা নয়। এই কারণে যে এককভাবে আওয়ামী লীগ এবং এর সমমনা দল যখন নির্বাচন করেছে, আরেকটি দল তখন নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে। আর এবারের নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠার সুযোগ নেই। কারণ, অত্যন্ত স্বচ্ছ, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবার অনুষ্ঠিত হয়েছে যেটা আপনারাই দেখেছেন।

এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আইন করে তারাই নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করে দিয়েছেন এবং নির্বাচনে কোনোরূপ হস্তক্ষেপ না করে সহযোগিতা করেছেন।

'কোনোরূপ হস্তক্ষেপ আমরা করিনি বরং সহযোগিতা করেছি। সেইসঙ্গে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা এবং প্রশাসন থেকে শুরু করে সবকিছুই ছিল সেই নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত, যেন নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়,' বলেন তিনি।

তিনি এ সময় নির্বাচন কমিশনকে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতার জন্য সশস্ত্র বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি গণমাধ্যমের সাংবাদিকদেরও ধন্যবাদ জানান প্রত্যেকটা জিনিস পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে তুলে আনার জন্য। ফলে মানুষের মাঝে সচেতনতা বেড়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। যে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ শিক্ষা-দীক্ষা এবং প্রযুক্তি ব্যবহারে স্মার্ট হবে। ইনশাল্লাহ উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ আমরা গড়ে তুলব। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না।
 
'জনগণের শক্তিই বড় শক্তি' সেটা এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবার প্রমাণিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা আপনাদের সেবা করার সুযোগ পেয়ে দেশকে নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাব ইনশাল্লাহ।'

 

Comments

The Daily Star  | English

BNP serious about reforms, spreadsheet created confusion: Salahuddin

BNP remains committed to structural reforms and is holding talks to reach a common understanding, he said after meeting with consensus commission

53m ago