গোল্ডেন ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত অস্ট্রেলিয়ার
বিপুল বিনিয়োগের বিনিময়ে বিদেশিদের স্থায়ী বসবাসের অনুমতি, অর্থাৎ 'গোল্ডেন ভিসা' কর্মসূচি বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লেয়ার ও'নিল বলেছেন, পর্যালোচনায় দেখা গেছে ধনী বিনিয়োগকারীদের অস্ট্রেলিয়ায় আগমন দেশটির অভিবাসন ব্যবস্থায় কার্যকরী কোনো ভূমিকা রাখছে না। তাই এই ভিসা প্রোগ্রাম বাতিল করা হচ্ছে।
২০১২ সালে তৎকালীন গিলার্ড লেবার সরকারের সময়ে এই ভিসা প্রোগ্রাম চালু হয়েছিল।
ভিসার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় ন্যূনতম ৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন ছিল। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পেতেন।
অন্যান্য ভিসার মতো, বিনিয়োগকারী ভিসার ধারকদের ইংরেজি শেখার বা কথা বলার প্রয়োজন ছিল না। এর কোনো বয়সসীমাও ছিল না।
এই ভিসা প্রবর্তনের সময় মানবাধিকার সংস্থাগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল যে, এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে দুর্নীতিগ্রস্ত বিদেশি কর্মকর্তা এবং সংগঠিত অপরাধ গোষ্ঠীর সদস্যরা অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত দেশে অবৈধ অর্থ নিরাপদে রাখার অনুমতি পাবে।
উৎপাদনশীলতা কমিশন ২০১৬ সালের একটি প্রতিবেদনে প্রোগ্রামটিকে বিনিয়োগকারীদের 'ভিসা প্রতারণার সুযোগ' বলে যুক্তি দিয়ে এটিকে বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছিল।
স্বরাষ্ট্র দপ্তরের পরিসংখ্যান অনুসারে ২০১২ সালে 'গোল্ডেন টিকেট ভিসা' প্রোগ্রাম শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত ২ হাজার ৩৪৯টি ভিসা দেওয়া হয়েছে। এই সময়ে প্রায় ১১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
Comments