চাঁদপুর

নিজেদের লাইন বসাতে গিয়ে বিটিসিএলের ইন্টারনেট লাইন কাটল সামিট, ১২ দিন ভোগান্তিতে গ্রাহক

চাঁদপুর
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

চাঁদপুর শহরে মাটি খুঁড়ে নিজেদের ইন্টারনেট লাইন বসাতে গিয়ে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) ইন্টারনেট লাইন কেটে ফেলেছে সামিট গ্রুপ। এর ফলে শহরের একাংশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ ৫৫ গ্রাহকের ইন্টারনেট লাইন ১২ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন গ্রাহকরা।

ইন্টারনেট ব্যবহারকারী চাঁদপুর শহরের আক্কাস আলী রেলওয়ে একাডেমির প্রধান শিক্ষক মো. গোফরান হোসেন বলেন, 'বেসরকারি ইন্টারনেট ছেড়ে সরকারি বিটিসিএলের ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করেছিলাম। কিন্তু গত ১২দিন ধরে ইন্টারনেট লাইন না থাকায় প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিগত অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ বন্ধ রয়েছে।'

'বিটিসিএলের কাছে অভিযোগ করেও কোনো লাভ হচ্ছে না। কবে ঠিক হবে তাও তারা কিছুই জানাচ্ছে না', যোগ করেন তিনি।

স্থানীয় আরেক বিটিসিএল গ্রাহক বলেন, 'ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় মোবাইল ডেটায় কোনোমতে কাজ চালাচ্ছি ১২ দিন ধরে। খুবই সমস্যা হচ্ছে অফিসের কাজে।'

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদপুর বিটিসিএলের জুনিয়র সহকারী ম্যানেজার কেএইচ এম খসরু বলেন, 'চাঁদপুর শহরের কুমিল্লা সড়কের কলেজ গেট থেকে জেলা জজ বাসভবন পর্যন্ত সোয়া ৫০০ মিটারে দুটি স্থানে গত ২১ জানুয়ারি এ ঘটনা ঘটেছে। খামখেয়ালি করে নিজেদের ইন্টারনেট লাইন বসাতে গিয়ে আমাদের ২০ ফুট মাটির নিচের অপটিক্যাল ইন্টারনেট লাইন সামিট গ্রুপ কেটে ফেলে ওইদিন। আমরা তাদের কাজের শুরুতে গাইডলাইন দিলেও তারা তা মানেনি। এ কারণে আমাদের ৫৫ গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহারে সাময়িক সমস্যায় রয়েছে।'

'সামিট গ্রুপ আমাদের দ্রুত বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে। তবে এজন্য বিটিসিএলের আরও ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা গচ্চা যাবে। ইন্টারনেট ব্যবহারে গ্রাহকরাও অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে', যোগ করেন তিনি।

সামিট গ্রুপের সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো.হোসাইন খান বলেন, 'আমাদের ইন্টারনেট লাইন বসাতে গিয়ে অসাবধানতায় বিটিসিএলের কিছু অংশ কেটে যায়। সেটা আমরা আগামী দু-একদিনের মধ্যে মেরামত করে দেবো। আরও আগেই করে দিতাম। বিটিসিএল তাদের অপটিক্যাল ফাইবার আনতে দেরি করায় কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। এখন আমাদের কাজ চলছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Bangladeshis worry amid US immigration crackdown

The United States has deported at least 31 Bangladeshis after President Donald Trump took a tough immigration policy.

5h ago