তুমব্রু-ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা সাধারণ জনগণের জন্য নিরাপদ না: বিজিবি মহাপরিচালক

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্ত এলাকা সাধারণ জনগণের জন্য নিরাপদ না বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।

আজ বুধবার তুমব্রু সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

বিজিবি মহাপরিচালক এই এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, 'আমাদের সাধারণ জনগণের জন্য জায়গাটা নিরাপদ নয়। বিশেষ করে যখন গোলাগুলি শুরু হয়, সেই সময়টুকু তো একেবারেই নয়!

'এটা স্বাভাবিক যে, নিজের ঘর-বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র থাকাটা আদৌ সুখকর কোনো কিছু না। তবে জীবন রক্ষার জন্য, যখন এ ধরনের পরিস্থিতি হয়, তখন তো কিছুটা করতেই হবে,' বলেন তিনি।

তিনি বলেন, 'তুমব্রু ও ঘুমধুমের পাশের বিওপিগুলোর সীমান্ত এলাকায় সংঘাতের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিছু গোলাগুলি হয়েছে, কিছু কিছু হচ্ছেও। এখনই সব সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের সরে যাওয়ার কথা বলছি না।'

গত দুই দিনের তুলনায় ফায়ারিংয়ের পরিমাণ একটু কম জানিয়ে আশরাফুজ্জামান বলেন, 'এর আগে গোলা-মর্টার শেল আমাদের অভ্যন্তরেও এসে পড়েছে। আমাদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রতিবাদ জানিয়েছে। মিয়ানমার জানিয়েছে, এখানে যারা আশ্রয় নিয়েছে, তারা তাদের নিয়ে যেতে প্রস্তুত। আমরা পরামর্শ করেছি। যত দ্রুত সম্ভব আমরা নিয়ে যেতে বলেছি। আমরা আশাবাদী শিগগির এর সমাধান হবে।'

তিনি বলেন, 'এটা সম্পূর্ণ মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ গোলযোগ ও সংঘাত। আমরা আর কোনো মৃত্যু চাই না। চাই এই পরিস্থিতির আশু সমাধান। বিজিবি ধৈর্য ধারণ করে, সহনশীলভাবে যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলা করে বর্ডার সিলড রাখতে প্রস্তুত।'

এক প্রশ্নের জবাবে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, 'বর্ডার লাইনের কিছুটা ভেতরে ফায়ার করলে মর্টার শেল বা অন্যান্য গোলা বারুদের কিছু কিছু অংশ অন্য দিকে চলে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে। সেই সম্ভাবনা যেন শূন্যের ঘরে চলে যায় সেটাই আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।

'গত দুই দিন মুহুর্মুহু গুলির শব্দ শোনা গেছে। এটা যদি বাড়ে, আরও সজোরে প্রতিবাদ করে যাতে বন্ধ করা যায় সেটা আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করব,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

IMF loan tranches: Agreement with IMF at last

The government has reached a staff-level agreement with the International Monetary Fund for the fourth and fifth tranche of the $4.7 billion loan programme, putting to bed months of uncertainty over their disbursement.

9h ago