শিক্ষা

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার, নতুন মেডিকেল কলেজ খোলার ‘পক্ষে না’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

শর্ত পূরণ করতে না পারায় ২ মেডিকেল কলেজের নিবন্ধন বাতিল ও ৪টির ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার, নতুন মেডিকেল কলেজ খোলার ‘পক্ষে না’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল অনুষ্ঠিত হবে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এই তথ্য জানান।

শিক্ষাবিদরা বলে আসছেন, বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো ব্যাঙের ছাতার মতো হচ্ছে, সেটার রাশ টেনে ধরা দরকার। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মেডিকেল কলেজ খুলতে আবেদন করছেন। এই ব্যাপারটি আপনি কীভাবে দেখেন—জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, 'কোনো মেডিকেল কলেজ নতুন করে খোলার পক্ষে আমি একদম না।'

তিনি বলেন, 'আমি মনে করি, আমাদের মেডিকেল কলেজগুলোতে এখনো শিক্ষকের সংকট আছে। আমি যদি সেই সংকট দূর করতে না পারি; একজন শিক্ষার্থীকে যদি আমি পড়াতেই না পারি, সে ডাক্তার হয়ে আপনার-আমার যে কারও চিকিৎসা করতে পারে। আমি গুণগত মানের দিকে নজর দেবো, সংখ্যার দিকে না।'

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, শর্ত পূরণ করতে না পারায় দুটি মেডিকেল কলেজের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া, চারটির ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

আইটি মেডিকেল কলেজ উত্তরা, ধানমন্ডির নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, রংপুরের নর্দান প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ ও রাজশাহীর শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

ঢাকার কেয়ার মেডিকেল কলেজ ও আশুলিয়ার নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজের নিবন্ধন বাতিল করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি কোয়ালিটি ডাক্তার তৈরি করার পক্ষে। তার জন্য যা যা করার আমি করব। হঠাৎ করে মেডিকেল কলেজ বানানো, সেটার পক্ষে আমি না।'

ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজের ভর্তি কার্যক্রম চলবে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। হাসপাতালের নিবন্ধন না থাকায় বন্ধ আছে এবং তাদের নিবন্ধন আইনি প্রক্রিয়াধীন। প্রথমবর্ষ ও দ্বিতীয়বর্ষে হাসপাতালের রিকোয়ারমেন্ট নেই; যেহেতু প্রথম বর্ষে হাসপাতালের অ্যাটাচমেন্ট লাগে না, সেই কারণে এই মুহূর্তে ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে ইউনাইটেডের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে না।

Comments

The Daily Star  | English
Impact of esports on Bangladeshi society

From fringe hobby to national pride

For years, gaming in Bangladesh was seen as a waste of time -- often dismissed as a frivolous activity or a distraction from more “serious” pursuits. Traditional societal norms placed little value on gaming, perceiving it as an endeavour devoid of any real-world benefits.

16h ago