উইলের সেঞ্চুরিতে রেকর্ড পুঁজি কুমিল্লার
শুরুতে সংগ্রাম করলেও সময়ের সঙ্গেসঙ্গে মানিয়ে নিয়ে দানবীয় ব্যাটিং করে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নিলেন উইল জ্যাকস। তার সঙ্গে চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছোটালেন স্বদেশী মঈন আলী। রানের খরায় থাকা অধিনায়ক লিটন দাসও খেললেন ঝড়ো এক ইনিংস। তাতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) রেকর্ড পুঁজি পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্স।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান সংগ্রহ করেছে কুমিল্লা। যা বিপিএলে যৌথভাবে সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড।
এর আগে ২০১৯ সালের বিপিএলে ২৩৯ রানের পুঁজি গড়েছিল রংপুর রাইডার্সও। সেই ম্যাচেও প্রতিপক্ষ ছিল চট্টগ্রামের ফ্র্যাঞ্চাইজি। চট্টগ্রাম ভাইকিংসের বিপক্ষে এই জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামেই আলেক্স হেলস ও রিলে রুশোর জোড়া সেঞ্চুরিতে এই পুঁজি গড়েছিল রংপুর।
এদিন জোড়া সেঞ্চুরি না হলেও একটি সেঞ্চুরি করেছেন উইল। খেলেন ১০৮ রানের হার না মানা এক ইনিংস। মাত্র ৫৩ বলে ইনিংসটি সাজান ৫টি চার ও ১০টি ছক্কায়। সঙ্গে জোড়া ফিফটি তুলে নিয়েছেন লিটন ও মঈন। ৩১ বলে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬০ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক। আর মাত্র ২৪ বলে ২টি চার ও ৫টি ছক্কায় অপরাজিত ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন মঈন।
অথচ ইনিংসের প্রথম ওভারে কোনো রানই তুলতে পারেনি কুমিল্লা। দুর্দান্ত বোলিংয়ে মেইডেন আদায় করে নেন নিহাদুজ্জামান। তবে পরের ওভারেই আগ্রাসী হন লিটন। তার সঙ্গে খোলস ভেঙে ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করেন উইলসও। তাতেই এগিয়ে যেতে থাকে কুমিল্লা। পাওয়ার প্লেতে ৬২ রান করে দলটি।
২৬ বলে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন লিটন। তবে এরপর খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। শহিদুল ইসলামের শিকার হলে ভাঙ্গে ৮৬ রানের উদ্বোধনী জুটি। তিনে নেমে এদিন খালি হাতে ফেরেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান তাওহিদ হৃদয়। চারে নেমে দ্রুত ফিরেছেন ব্রুক গেস্টও।
২৫ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারালেও নিজের মতো আগ্রাসী ব্যাটিং চালিয়ে যান জ্যাক। তাতে হুহু করে বাড়তে থাকে রান। মঈনের সঙ্গে অবিচ্ছিন্ন ১২৮ রানের জুটি গড়েন এই তরুণ। শেষ পাঁচ ওভারে ৮২ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার। তাতেই রেকর্ড পুঁজি মিলে দলটির।
Comments