প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুতে আসকের উদ্বেগ ও ন্যায়বিচার দাবি

বছরের প্রথম ৩ মাসে হয়রানি, নির্যাতনের শিকার ৫৬ সাংবাদিক: আসক

রাজধানীর একটি বহুতল ভবনের নয়তলা থেকে পড়ে গৃহকর্মী প্রীতি উরাংয়ের (১৫) মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।

আজ বুধবার আসকের বিবৃতিতে এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

এ ছাড়া, শিশুদের গৃহকর্মে নিয়োগ বন্ধে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জানায় সংস্থাটি।

বিবৃতিতে বলা হয়, 'গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, গত ৬ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদপুর শাহজাহান রোডের একটি বাড়ির নয়তলা থেকে পড়ে প্রীতি উরাং নামের একজন শিশু গৃহকর্মীর মৃত্যু ঘটে। প্রীতির বাড়ি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মিত্তিঙ্গা গ্রামে। তার বাবা লোকেশ উরাং একজন চা-শ্রমিক। প্রীতি গত দুই বছর যাবত জাতীয় দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের বাসায় কাজ করত।'

এতে আরও বলা হয়, 'ঘটনার দিন সকালে প্রীতি ওই ভবনের নয়তলা থেকে পাশের দোতলা টিনশেডের ওপর পড়ে এবং সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান ওই বাড়ির ম্যানেজার। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের সাপেক্ষে অভিযুক্তদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গণমাধ্যম সূত্রে আরও জানা যায়, একই বাসায় গত বছরের ৬ আগস্ট ফেরদৌসি নামের আরেক শিশু গৃহকর্মীর লাফিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল।'

'গৃহকর্মে শিশুদের ব্যবহারকে শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন এবং গৃহকর্মীদের প্রতি চলমান সহিংসতা প্রতিহতে গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫ যথাযথভাবে বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।'

আসক নির্বাহী পরিচালক ফারুখ ফয়সলের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'একই বাসায় অত্যন্ত কম সময়ের ব্যবধানে দুজন শিশুর হতাহতের ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। পাশাপাশি, প্রীতি উরাংয়ের মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Govt publishes gazette of 1,558 injured July fighters

Of them, 210 have been enlisted in the critically injured "B" category, while the rest fall under the "C" category of injured fighters

38m ago