নাফ নদীর ওপার থেকে গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ

BGB on the bank of river Naf
নাফ নদীর তীরে সতর্ক অবস্থানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। ফাইল ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপ থেকে নাফ নদীর ওপারে মায়ানমারের ভেতর থেকে থেমে থেমে গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। আজ সকাল ১০টার পর থেকে গোলাগুলি শুরু হয়। এতে আতঙ্কে রয়েছেন সীমান্তের বাসিন্দারা।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে লড়াই চলছে। শুরুতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ওপারে গোলাগুলি সীমাবদ্ধ থাকলেও গত কয়েকদিন ধরে টেকনাফের হ্নীলা, টেকনাফ শহর এবং শাহপরীর দ্বীপের বিপরীত দিক থেকে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।

টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুস সালাম জানান, গত রাতে পরিস্থিতি শান্ত ছিল। সকাল ১০টা পর্যন্ত টানা দুই ঘণ্টা সীমান্তের ওপার থেকে বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা যায়। পরে দুপুর ২টা পর্যন্ত থেমে থেমে শব্দ পাওয়া যায়।

তবে গত দুই দিনের তুলনায় আজ লড়াইয়ের তীব্রতা কম ছিল বলেও জানান তিনি।

সালাম বলেন, এখানে নাফ নদীর প্রস্থ তিন কিলোমিটারের কম নয়। তাই এখানে আমাদের কোনো ঝুঁকি নেই। তবু গুলি ও বিস্ফোরণের শব্দে মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে টেকনাফ-২ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা সীমান্তের দিকে নজর রাখছি। আজ সকালে মিয়ানমারের ভেতরে গোলাবর্ষণের খবর শুনেছি। সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে। মিয়ানমারের কোনো নাগরিককে অবৈধভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।

আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জুবায়ের ডেইলি স্টারকে বলেন, নলবুন্ন্যা পাতনছা, নুরুল্লা এবং হাসসুরাতাতে বসবাসকারী রোহিঙ্গারা লড়াইয়ের কারণে তাদের গ্রাম ছেড়ে নিরাপদ জায়গায় চলে গেছেন। তাদের অনেকেই গেছেন মংডু শহরে।

'সীমান্তে নাফ নদীতে ছোট নৌকায় আশ্রয় নেওয়া ৪০০-৫০০ রোহিঙ্গার সঙ্গে আজ আমাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই রোহিঙ্গাদের মধ্যে অনেকেই কক্সবাজার ক্যাম্পে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক দিয়ে যোগাযোগ করছিল।

তিনি বলেন, 'কিন্তু আজ আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। তারা হয়ত মূল ভূখণ্ডে আশ্রয় নিয়েছে, যেখানে মোবাইল নেটওয়ার্ক গত কিছুদিন ধরে বিপর্যস্ত অবস্থায় রয়েছে।

চলতি মাসের শুরুতে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমার থেকে গুলি ও মর্টার শেল এসে পড়তে থাকায় বহু মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হন। এর মধ্যে একটি মর্টার শেলের বিস্ফোরণে এক বাংলাদেশিসহ দুজন নিহত হন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।

Comments

The Daily Star  | English

‘For 15 years I fought for BNP leaders and activists, today they pushed me’

Rumeen Farhana says she was almost knocked down during clash at EC over Brahmanbaria boundaries

2h ago