জাবি ছাত্র ইউনিয়নের ২ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ ৫ দাবি শিক্ষার্থীদের
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বঙ্গবন্ধুর দেয়ালচিত্র মুছে ধর্ষণবিরোধী দেয়ালচিত্র আঁকায় ছাত্র ইউনিয়নের দুই নেতাকে বহিষ্কারে সিন্ডিকেটে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমে সঙ্গে দেখা করে এই দাবি জানানো হয়। একাধিক প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকালে প্রশাসন ভবনে গিয়ে লিখিত পাঁচ দফা দাবি জমা দেন তারা।
বহিষ্কৃত দুই নেতা হলেন ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদ একাংশের সভাপতি অমর্ত্য রায় ও সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলী। দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম ব্যাচের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে আছে, অবিলম্বে ছাত্র ইউনিয়ন নেতাদের বহিষ্কারাদেশ বাতিল করতে হবে। ধর্ষণে অভিযুক্ত ও পলায়নে সহযোগিতাকারীদের রাষ্ট্রীয় আইনে বিচার করতে হবে। মীর মশাররফ হোসেন হল ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের প্রাধ্যক্ষসহ হল প্রশাসনের যাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণে অভিযুক্তকে পালাতে সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছে তাদের ভূমিকা নিয়ে তদন্ত করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আবাসিক হলগুলো থেকে মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট উৎখাত করতে হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে অছাত্রদের হল থেকে তাড়াতে হবে। ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা জোরদার এবং প্রক্টর ও নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল কার্যকর করতে হবে।
এ বিষয়ে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদ একাংশের সহ-সভাপতি আশফার রহমান নবীন বলেন, আমরা পাঁচ দফা দাবি লিখিত প্রশাসনের কাছে জমা দিয়েছি। ছাত্রনেতা দুইজনের নিয়মবহির্ভূত বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে প্রশাসনকে এসব দাবি মানতে হবে। নইলে আমরা আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি টানা আন্দোলন শুরু করব।'
এ ব্যাপারে জানার জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, গত ৭ ফেব্রুয়ারি নতুন কলা ভবনের পশ্চিম পাশের দেয়ালে 'বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ' শীর্ষক একটি দেয়ালচিত্র মুছে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনকারীদের একটি অংশ (ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ) নতুন দেয়ালচিত্র আঁকে। এই ঘটনায় ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের একাংশের সভাপতি অমর্ত্য রায় ও সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার ও মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত মঙ্গলবার এক বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
Comments