জাবি ছাত্র ইউনিয়নের ২ নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মশাল মিছিল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নতুন কলা ভবনের দেয়ালে বঙ্গবন্ধুর দেয়ালচিত্র মুছে ধর্ষণবিরোধী দেয়ালচিত্র আঁকায় ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের একাংশের সভাপতি অমর্ত্য রায় ও সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মশাল মিছিল করেছে বিভিন্ন বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি মূল সড়ক দিয়ে পুরোনো প্রশাসনিক ভবন হয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলমের বাসভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
পরে সেখানে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। সমাবেশ শেষে সেখানে অবস্থান নেন তারা। মিছিলে ছাত্র ইউনিয়ন ও বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর নেতাকর্মীরা অংশ নেন। মশাল হাতে তারা 'ছবি আকার স্বাধীনতা লাগবেই লাগবে, কথা বলার স্বাধীনতা লাগবেই লাগবে, অবিলম্বে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার কর করতে হবে' স্লোগান দেন।
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী প্রাপ্তি তাপসী বলেন, 'ন্যক্কারজনক একটি আদেশ দেওয়া হয়েছে। ধর্ষণ ও স্বৈরাচারবিরোধী গ্রাফিতি আঁকার দায়ে দুজন ছাত্রনেতাকে বহিষ্কার করা শুধু একুশের চেতনা নয় বরং বঙ্গবন্ধুর চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আমরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই এবং অবিলম্বে এই আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানাই।'
ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সহসভাপতি আশফার রহমান নবীন বলেন, 'এরকম অবিচার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কমই হয়েছে। গ্রাফিতি আঁকায় দুজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করে প্রশাসন মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করেছে।'
ফটকের সামনে অবস্থান নেওয়ার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর উপাচার্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, 'এটা সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত ছিল। এই সিদ্ধান্তের বাইরে কিছু করার ক্ষমতা আমার নেই।'
লিখিত দাবি নিয়ে উপাচার্য আগামীকাল তার কার্যালয়ে দেখা করতে বলেন।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের দেয়ালে বঙ্গবন্ধুর দেয়ালচিত্র মুছে ধর্ষণবিরোধী দেয়ালচিত্র আঁকার অভিযোগে ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের একাংশের সভাপতি অমর্ত্য রায় ও সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল এক বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
জানা যায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি নতুন কলা ভবনের পশ্চিম পাশে মুরাদ চত্বর সংলগ্ন দেয়ালে 'বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ' শীর্ষক একটি দেয়ালচিত্র মুছে ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনকারীদের একটি অংশ নতুন দেয়ালচিত্র আঁকে।
Comments