আফগানদের বিপক্ষে টেস্ট জিতে আয়ারল্যান্ডের ইতিহাস

ছবি: এক্স

১১১ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়াতেও দেখা দিল ভীষণ শঙ্কা। স্কোরবোর্ডে ৩৯ রান জমা হতেই ৪ উইকেট খুইয়ে ফেলল আয়ারল্যান্ড। সেই বিপর্যয় সামলে দলকে পথ দেখালেন অধিনায়ক অ্যান্ডি ব্যালবার্নি। লরকান টাকারের সঙ্গে জুটি বেঁধে কাঙ্ক্ষিত চাহিদা মিটিয়ে ফেললেন তিনি। ফলে আফগানিস্তানকে ডুবিয়ে টেস্ট ইতিহাসে প্রথম জয়ের মধুর স্বাদ পেল আইরিশরা।

শুক্রবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে তৃতীয় দিনেই হয়ে গেছে দুই দলের একমাত্র টেস্টের ফয়সালা। টলারেন্স ওভালে আফগানদের বিপক্ষে আয়ারল্যান্ড জিতেছে ৬ উইকেটের ব্যবধানে। ২০১৮ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার পর এই সংস্করণে এটি তাদের প্রথম জয়। নিজেদের আগের সাত টেস্টের সবকটিতেই হেরেছিল তারা। এর মধ্যে একটি হার ছিল আফগানিস্তানের কাছেই, ২০১৯ সালে ভারতের দেরাদুনে।

আইরিশদের চেয়ে কম ম্যাচ খেলে প্রথম টেস্ট জয়ের নজির রয়েছে কেবল পাঁচটি দলের। তারা হলো অস্ট্রেলিয়া (১), ইংল্যান্ড (২), পাকিস্তান (২), আফগানিস্তান (২) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৬)।

অল্প পুঁজি নিয়েও শুরুতে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে আফগানরা। ১৩ রানের মধ্যে তারা তুলে নেয় ৩ উইকেট। ইনিংসের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম ওভারের শেষ দুই বলে তিনি বোল্ড করে দেন পিটার মুর ও কার্টিস ক্যাম্ফারকে। তাদের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি। পঞ্চম ওভারে সাজঘরে ফেরেন হ্যারি টেক্টর। উইকেটের পেছনে রহমানউল্লাহ গুরবাজের গ্লাভসবন্দি হয়ে নিজাত মাসুদের শিকার হন তিনি।

ব্যালবার্নি ও পল স্টার্লিংয়ের জুটি গড়ার চেষ্টা সফল হয়নি। জিয়া উর রেহমানের বলে প্রথম স্লিপে রহমত শাহকে ক্যাচ দিয়ে থামেন স্টার্লিং। ২২ বলে তিনি করেন ১৪ রান।

চাপে পড়া দলের একপ্রান্ত এরপর আগলে ধরেন ব্যালবার্নি। যোগ্য সঙ্গী হিসেবে তিনি পান টাকারকে। তাদের জুটির রান পঞ্চাশ স্পর্শ করে ৮১ বলে। কিছুক্ষণ পর ফিফটি পেয়ে যান আইরিশ দলনেতা। আর কোনো বিপদ ঘটতে না দিয়ে স্মরণীয় জয় আদায় করে নেয় সফরকারীরা। ব্যালবার্নি ৯৬ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন। টাকার ৫৭ বলে করেন অপরাজিত ২৭ রান। তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে আসে ১১৩ বলে ৭২ রান।

লো স্কোরিং এই ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের জয়ের মূল নায়ক অবশ্য তাদের পেসাররা। প্রতিপক্ষের পতন হওয়া ২০ উইকেটের ১৯টিই নেন তারা। সবচেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন মার্ক আডায়ার। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন তিনি।

এর আগে দ্বিতীয় দিনের ৩ উইকেটে ১৩৪ রান নিয়ে খেলতে নেমে ২১৮ রানেই থামে আফগানরা। তাদের পক্ষে ১০৭ বলে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহিদি। অভিষেক টেস্ট খেলতে নামা গুরবাজের ব্যাট থেকে আসে ৮৫ বলে ৪৬ রান। নয়ে নামা নাভিদ ৫৩ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলে দলের সংগ্রহ দুইশ পার করান।

আয়ারল্যান্ডের হয়ে অ্যাডায়ার ৫৬ রানে নেন ৩ উইকেট। শহিদিকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলে এদিন আফগানিস্তানের উইকেট তুলে নেওয়ার শুরুটা করেন তিনি। এরপর দুই অভিষিক্ত ব্যারি ম্যাককার্থি ও ক্রেইগ ইয়াং তোপ দাগেন। সেসবের জবাব ছিল না প্রতিপক্ষের কাছে। ইয়াং ২৪ ও ম্যাককার্থি ৪৮ রানে পান অ্যাডায়ারের সমান সংখ্যক উইকেট।

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

8h ago