তৃতীয় দফায় এসে শিরোপার আক্ষেপ ঘুচল মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বিপিএলের প্রথম আসর থেকে নিয়মিত খেলেও দলীয় সাফল্যের ঝুলি শূন্য ছিল মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। আগে দুবার ফাইনালে নেমেও হতাশার আগুনে পুড়তে হয়েছিল বাংলাদেশের দুই অভিজ্ঞ তারকাকে। তৃতীয় দফায় এসে ফরচুন বরিশালের হয়ে এবার একসঙ্গে আক্ষেপ ঘুচিয়ে কাঙ্ক্ষিত শিরোপার স্বাদ নিলেন তারা।

শুক্রবার দশম আসরের ফাইনালে প্রতিযোগিতার সফলতম দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৬ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বরিশাল। ১৫৫ রানের লক্ষ্য তাড়ার সমীকরণ তামিম ইকবালের দল মিলিয়ে ফেলেছে ৬ বল হাতে রেখে। বিপিএলে এটি বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম শিরোপা। আগের তিনটি ফাইনালে হারের ক্ষত সামলে তারা যেমন এবার সবশেষ বাধা ডিঙাতে পারল, তেমনি মুশফিক আর মাহমুদউল্লাহ পেলেন শিরোপার ছোঁয়া।

বিপিএলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় আসরে টানা দুবার শিরোপার কাছে পৌঁছেও ব্যর্থ হয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ২০১৩ সালে চট্টগ্রাম কিংসের হয়ে ফাইনাল খেলেন তিনি। সেবার ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের কাছে তারা হেরেছিলেন ৪৩ রানে। পরের আসরে শেষ বলে গড়ানো রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে হৃদয় ভাঙে মাহমুদউল্লাহর। তার দল বরিশাল বুলসের বিপক্ষে ফাইনালে ৩ উইকেটে জিতেছিল কুমিল্লা।

দুবারই অধিনায়ক হিসেবে মাহমুদউল্লাহ আলো ছড়িয়েছিলেন শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে। চট্টগ্রামের হয়ে ২৮ বলে ৪৪ রানের বিস্ফোরক ইনিংসের পর বরিশালের পক্ষে দেখান অলরাউন্ড নৈপুণ্য। কিন্তু ব্যাট হাতে ৩৬ বলে অপরাজিত ৪৮ রানের পর বল হাতে ২৩ রানে ২ উইকেট নিলেও তা যথেষ্ট হয়নি।

২০১৯ সালের ফাইনালে রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে ৭ উইকেটের হারের দিনে নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছিলেন মুশফিক। খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক ১৫ বলে ২১ রানে সাজঘরে ফেরেন। আর গত আসরে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে সেরাটা ঢেলে দিয়েও শিরোপা জিততে পারেননি। ৪৮ বলে অপরাজিত ৭৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস এসেছিল তার ব্যাট থেকে। তবে কুমিল্লা ৭ উইকেট জিতে গিয়েছিল।

এদিন মুশফিক আউট হয়ে যান ১৮ বলে ১৩ রান করেই। মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত থাকেন ৭ বলে ৭ রানে। তাদেরকে তেমন অবদান রাখতে হয়নি দলনেতা তামিম ও কাইল মেয়ার্স আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করায়। আসরের সেরা খেলোয়াড় তামিম ২৬ বলে ৩৯ ও ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় মেয়ার্স ৩০ বলে ৪৬ রান করেন।

সদ্যসমাপ্ত বিপিএলে মুশফিকের অবস্থান রান সংগ্রাহকদের তালিকার শীর্ষ পাঁচে। তিনি ১৫ ম্যাচে তিনটি ফিফটিসহ ৩১.৬৬ গড় ও ১২০.৬৩ স্ট্রাইক রেটে ৩৮০ রান করেন। আর সমান ম্যাচ খেলে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে ২৯.৬২ গড় ও ১৩৪.৬৫ স্ট্রাইক রেটে দুটি ফিফটিসহ আসে ২৩৭ রান।

Comments

The Daily Star  | English
US attack on Iran nuclear sites

Iran denounces US attack as ‘outrageous’

Iran says 'no signs of contamination' after US attacks on key nuclear sites

9h ago