বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি এড়াতে যা করবেন

বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি এড়াতে যা করবেন
ছবি: সংগৃহীত

আগুন থেকে সৃষ্ট দুর্ঘটনা খুবই আকস্মিক হয় এবং অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এমন দুর্ঘটনায় দেশজুড়ে সবাই স্তম্ভিত ও শোকাহত। তবে আমরা অনেকেই জানি না এসব দুর্ঘটনা প্রতিরোধে কীভাবে সতর্ক থাকতে হয় বা বাসাবাড়িতে অগ্নিকাণ্ড এড়াতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সঠিকভাবে ব্যবহার করুন

অনেক সময় আমরা অসচেতনতার কারণে বৈদ্যুতিক যন্ত্রগুলো সঠিক ও নিরাপদভাবে ব্যবহার করি না। কোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্রের ছেঁড়া বা ক্ষতিগ্রস্ত তার দেখলে দ্রুত তা বদলানোর ব্যবস্থা করতে হবে। সবসময় উচ্চ ওয়াটের ভালো মানের মাল্টিপ্লাগ ব্যবহার করুন। খেয়াল রাখবেন যেন মাল্টিপ্লাগে সংযুক্ত ডিভাইসের ওয়াট মাল্টিপ্লাগের ওয়াট ক্ষমতার চেয়ে বেশি না হয়ে যায়। ডিভাইস কখনোই বিছানা বা বালিশের নিচে চার্জে লাগিয়ে রেখে দেবেন না। এগুলো কোনো অদাহ্য ও নিরাপদ জায়গায় চার্জে দিন।

গ্যাসের চুলার লাইনের ছিদ্র সম্পর্কে সচেতন হোন

গ্যাসের চুলার লাইনের ছিদ্র থেকে অনেক সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যখন ব্যবহার করছেন না, তখন অবশ্যই চুলা বন্ধ রাখবেন। খেয়াল রাখবেন, চুলার পাইপে যেন কোনো রকম ছিদ্র না থাকে। প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে চুলা বন্ধ আছে কি না খেয়াল রাখুন। কারণ সারারাত ঘরে গ্যাস জমে থাকলে সকালে চুলা জ্বালানোর সময় বিরাট দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বাড়তি সতর্কতার জন্য রান্নাঘরে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন, যেন গ্যাস জমে থাকতে না পারে।

আগুনের উৎস সম্পর্কে সচেতন হোন

কখনই চুলা জ্বালিয়ে রেখে বা রান্না করতে করতে অন্য কোথাও চলে যাবেন না। ঘুম ঘুম অবস্থায় ঘরের মধ্যে, বিশেষত বিছানায় বা সোফায় ধূমপান না করার চেষ্টা করুন। সাধারণ একটি মোমবাতি থেকেও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই মোমবাতি জ্বালিয়ে রেখে কোথাও যাওয়া উচিত নয়। দাহ্য পদার্থ যেমন- তেল, কার্ডবোর্ড, কাগজ এগুলো আগুনের সংস্পর্শ থেকে দূরে রাখতে হবে।

স্মোক ডিটেক্টর স্থাপন করুন

এটি একটি সহজ কিন্তু খুবই কার্যকরী সমাধান। আগুন লাগার প্রাথমিক পর্যায়ে এটি আপনাকে সতর্ক করবে এবং বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচাতে সাহায্য করবে। তাই ঘরের বিভিন্ন জায়গায় এই স্মোক ডিটেক্টর লাগাতে পারেন। তবে নিয়মিতভাবে এর ব্যাটারি পরীক্ষা করা জরুরি। ফায়ার এলার্ম বেজে উঠলে আগুনের উৎস খুঁজে বের করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

ফায়ার এক্সটিংগুইশার এবং ফায়ার ব্লাংকেট হাতের কাছে রাখুন

সব অ্যাপার্টমেন্টের প্রতিটি ফ্লোরে দরজার বাইরে ফায়ার এক্সটিংগুইশার বা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখা আবশ্যক। ভবনের প্রতিটি মানুষকে এর সঠিক ব্যবহার জানতে হবে। এই অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রগুলো কিছুদিন পর পর বদলাতে হবে, যেন এগুলো নিজেই বিপদের কারণ হয়ে না দাঁড়ায়।

দুর্ঘটনায় করণীয় বিষয়ে মহড়ার ব্যবস্থা করুন

অগ্নিনিরাপত্তার পাশাপাশি এরকম দুর্ঘটনায় করণীয় কী, সে বিষয়ে মহড়ার আয়োজন করা উচিত। জরুরি অবস্থায় পর্যায়ক্রমে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে তা পরিবারের মানুষ, বিশেষত বাচ্চাদের শেখাতে হবে। বিপদের মুহূর্তে তাহলে হতভম্ব হয়ে পড়তে হবে না।

অনুবাদ করেছেন সৈয়দা সুবাহ আলম

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

6h ago