কাজের মধ্যে থাকতেই বেশি ভালো লাগে: পরীমনি

পরীমনি। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত ও ব্যস্ত নায়িকা পরীমনি। নতুন বছরটা তার জন্য বেশ ভালো যাচ্ছে। দারুণ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। নতুন সিনেমা, মডেলিং, ওয়েব ফিল্ম নিয়ে অন্যরকম সময় পার করছেন। টানা শুটিং শেষ করে এখন একমাত্র পুত্র রাজ্যকে নিয়ে ঘুরতে গেছেন।

এসব বিষয় নিয়ে মুঠোফোনে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন পরীমনি।

দ্য ডেইলি স্টার: সম্প্রতি টাঙ্গাইল ঘুরে এলেন। কেমন অভিজ্ঞতা হলো?

পরীমনি: দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে। প্রচুর মানুষ এসেছিলেন। সবাই যেমন আনন্দ করেছেন, আমিও করেছি। সবার মাঝে খুব উচ্ছ্বাস ছিল। এটা আমাকে মুগ্ধ করেছে। টাঙ্গাইলের মিষ্টির সুনাম দেশজুড়ে। মিষ্টি উপহার পেয়েছি। খেয়েছিও। আমার ক্যারিয়ারে অন্যরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে। এ ছাড়া সম্প্রতি মানিকগঞ্জে গিয়েছি। সেখানেও একইরকম অভিজ্ঞতা হয়েছে।

ডেইলি স্টার: ভালোবাসা দিবসে 'বুকিং' প্রচারের পর কতটা সাড়া পাচ্ছেন?

পরীমনি: ভীষণ সাড়া পাচ্ছি চারদিক থেকে। এতটা সাড়া পাব ভাবিনি। সাড়া পেয়ে ভালো লাগছে। কাছের মানুষরা খুব প্রশংসা করছেন। দর্শকরাও করছেন। আমার জন্য বড় ভালো একটি কাজ হয়েছে। সবাই বলাবলি করছেন, বুকিং ভালো হয়েছে। এটাই প্রাপ্তি। বুকিং দিয়ে অনেকদিন পর রোমান্টিক গল্পে ফিরেছি।

পরীমনি। ছবি: সংগৃহীত

ডেইলি স্টার: চলতি বছরে তো অনেকগুলো কাজ করছেন?

পরীমনি: তা করছি। নানাভাই মারা যাওয়ার পর বুঝতে পারছি কতটা কষ্ট আমাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। সেজন্য সব ভেবে দেখলাম কাজই সব। কাজের মধ্যে থাকতেই বেশি লাগে। কাজই মন ভালো রাখবে। কাজই একজন শিল্পীকে বাঁচিয়ে রাখবে। সেজন্য বেশি বেশি কাজে মন দিলাম। একটানা এত কাজ করছি যে ধম ফেলার সময় পাচ্ছিলাম না।

ডেইলি স্টার: তার মানে অবসর নেই?

পরীমনি: অবসর বের করে নিতে হয়। এখন যেমন পুত্রকে নিয়ে ঘুরতে এসেছি। আমার সন্তান আমার পৃথিবী। শুটিংয়ে কিন্তু পুত্রও থাকে। দেখা গেল শুটিং করছি, সে পাশের ঘরে, তারপরও যেন মিস করি—এমনটাই মনে হয়। জন্মের পর সন্তানকে বেশি বেশি সময় দিচ্ছি। বলতে গেলে ২৪ ঘণ্টা তার জন্য। তারপরও একটু সুন্দর করে নিঃশ্বাস নিতে, ওকে সুন্দর সময় দিতে প্রকৃতির মাঝে চলে এসেছি। চারদিকে শুধু গাছ আর গাছ। প্রকৃতির সান্নিধ্যে এসে আমরা খুব মজা করছি। দারুণ সময় কাটাচ্ছি।

ডেইলি স্টার: ডোডোর গল্প সিনেমার শুটিং কী শেষ করেছেন?

পরীমনি: না, একটু বাকি আছে। সব শেষ সিলেটে গিয়েছিলাম। ওখানে শুটিং করেছি। একটি অসাধারণ গল্পের সিনেমা ডোডোর গল্প। নতুনভাবে আমাকে পাবেন দর্শকরা। অনেক বেশি আশাবাদী সিনেমাটি নিয়ে।

Comments

The Daily Star  | English

How Trump’s reciprocal tariff challenged WTO’s multilateral trading system

Bangladesh is in an advantageous position compared with other competing countries in the US market

36m ago