ময়মনসিংহ সিটি নির্বাচন

উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট চলছে, জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী: ইকরামুল হক টিটু

ভোট প্রদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন সদ্য সাবেক মেয়র ইকরামুল হক টিটু। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১২৮টি কেন্দ্রে আজ সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।

সকাল ৯টা ১০ মিনিটে প্রিমিয়ার আইডিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন সদ্য সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরামুল হক (টিটু)। 

ইভিএমে ভোট প্রদান শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'আমি জনগণের পাশে ছিলাম এবং জনগণ আমাকে আবারও ভোট দেবে। এখানে ভোটের উৎসবমুখর পরিবেশ রয়েছে। কিন্তু আমরা দেখতে পেয়েছি আঙ্গুলের ছাপ না মেলায় অনেক ভোটার তাদের ভোট দিতে পারছেন না। ভোট না দিয়ে কারো ফিরে যাওয়া উচিত হবে না।'

'সকাল থেকেই যথেষ্ট ভোটার উপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। আমি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী,' বলেন তিনি।

সরেজমিনে সকাল ৮টা থেকে কয়েকটি ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ কেন্দ্রে নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি। এ সিটি করপোরেশনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯০ জন এবং

নারী ভোটার ১ লাখ ৭২ হাজার ৬০৯ জন। 

রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী জানান, ১২৮টি কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে চার হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে।

'৩৩টি ওয়ার্ডের সব কেন্দ্রই আমাদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। আমরা কেন্দ্রে ইভিএম বিতরণ করেছি এবং কোথাও বড় ধরনের কোনো সমস্যা পাইনি। আমরা আশা করি মানুষ নির্দ্বিধায় তাদের ভোট দেবে

এবং ভোটারদের উপস্থিতি ভালো হবে,' বলেন তিনি।

২০১৮ সালে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন প্রতিষ্ঠার পর, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রথম মেয়র হন ইকরামুল হক টিটু। তবে এবার তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছেন তিন সহযোগী ও বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রার্থীর সঙ্গে। অন্য প্রার্থীরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাদেকুল হক খান। এই তিন প্রার্থীর মধ্যে মূলত মেয়র পদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া গেছে প্রচারণার সময়ে। এর বাইরে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন কৃষিবিদ রেজাউল হক ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী শহিদুল ইসলাম।

Comments

The Daily Star  | English
Touhid Hossain Rohingya statement

Rohingya repatriation unlikely amid Myanmar’s civil war: foreign adviser

He highlights the 2017 mass exodus—prompted by brutal military crackdowns was the third major wave of Rohingyas fleeing Myanmar

44m ago