গাজীপুরে সিলিন্ডার থেকে আগুনে দগ্ধদের বিষয়ে যা জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

দগ্ধদের মধ্যে পাঁচজন আইসিইউতে এবং চারজন এইচডিইউতে চিকিৎসাধীন।
ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরে সিলিন্ডার থেকে আগুনে দগ্ধ ৮-১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। 

তাদের প্রত্যেকের শরীরে ৯০-১০০ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানান তিনি।

আজ বুধবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে এই অগ্নি দুর্ঘটনায় অন্তত ৩৫ জন দগ্ধ হয়েছেন।

দগ্ধ রোগীদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে  যান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী সামন্ত লাল বলেন, 'এখানে ৭ শিশুসহ প্রায় ৩০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের প্রত্যেকের শ্বাসনালী পুড়ে গেছে।'

মন্ত্রী আরও জানান, 'ভর্তি রোগীদের মধ্যে পাঁচজন আইসিইউতে এবং চারজন এইচডিইউতে চিকিৎসাধীন।'

আহতরা হলেন-নাদীম (২২), নীরব (১০), সুফিয়া (৯), মিরাজ (১৩), তারেক রহমান (১৭), সোলায়মান (৯), লালন (২৩), নাঈম (৮), শিল্পি (৩০), ইয়াসিন আরাফাত (২১), সুমন (২৬), মুহিদুল (২৭), মন্নাত (১৭), রাব্বি (১৩), নার্গিস (২৫), সাদিয়া খাতুন (১৮), জহিরুল (৩২), আরিফ (৪০), রত্না বেগম (৪০), তাইবা (৫), মনসুর আলী (৩০), নূরনবী (৩), রহিমা (৩), কবীর (৩০), কুদ্দুস (৪৫), তৌহিদ (৭), সোলায়মান (৪০), মশিউর (২২), লাদেন (২২) ও কমলা (৬৫)।

এ ঘটনায় দগ্ধ দুই শিশু গোলাম রাব্বি ও শারমিন আক্তার বার্ন ইনস্টিটিউটে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। তাদের বাবা শাহ আলম বার্ন ইনস্টিটিউটের নিচে বাকরুদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছেলেটা আমার কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। গত বৃহস্পতিবার সে বাসায় আসছে।'

শাহ আলম বলেন, 'আমি ইফতারের আগে রান্না করছিলাম। হঠাৎ দেখি, একটি সিলিন্ডারে আগুন লেগেছে। আমি আগুন নেভানোর জন্য ছুটে যাই। একটু পরেই বিকট শব্দে সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়।'

'আমার বাচ্চারা আগুন দেখতে গিয়ে পুড়ে গেছে,' বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন শাহ আলম।

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আবদুল্লাহ আল আরিফিন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী টপ স্টার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির পাশের একটি কলোনিতে সন্ধ্যা ৬টার দিকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

Comments