বাংলাদেশ

জিম্মি ছেলেকে ফিরে পেতে মায়ের আকুতি

'ছেলে রাত ১১টার দিকে কল দিয়ে কয়, মা আমাদের ২৩ জনকে আটকে রেখেছে। আমাদের জন্য দোয়া করো'
সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি ছেলেকে ফিরে পেতে আকুতি জানান নাবিক নাজমুল হকের মা নার্গিস খাতুন। ছবি: স্টার

ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক-ক্রুদের একজন নাজমুল হক। ছেলের জিম্মি হওয়ার খবর শুনে বাবা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। আর মা অজানা আশঙ্কায় দিশেহারা।

গতকাল বুধবার সিরাজগঞ্জে নাজমুলের গ্রামের বাড়ি কামারখন্দ উপজেলার চরনুরনগরে গিয়ে দেখা যায় ছেলের চিন্তায় অস্থির সময় পার করছেন মা নার্গিস খাতুন।

বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন, পাড়া প্রতিবেশীরা এসেছেন সান্তনা দিতে। তবু বারবার কেবল ছেলের খোঁজ করছিলেন এই মা। ছেলেকে ফিরে পেতে সরকারের কাছে আকুতি জানান তিনি।

বলেন, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর ছেলে এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজে কাজ নিয়েছিল। 'ছেলে রাত ১১টার দিকে কল দিয়ে কয়, মা আমাদের ২৩ জনকে আটকে রেখেছে। আমাদের জন্য দোয়া করো। এই বলে ও ফোন কেটে দেয়।'

এই খবর শোনার পর অসুস্থ হয়ে নাজমুলের বাবা আবু সামা (৫৯)। হাসপাতালে ভর্তি। ছেলের সন্ধান নেই, স্বামীও হাসপাতালে, মা নার্গিস খাতুন কোনো দিশা খুঁজে পাচ্ছেন না।  

সরকার যেন দ্রুত নাজমুলকে মুক্ত করে আনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন নাজমুলের মা।

গ্রামবাসী ও আত্মীয়রা জানায়, কষ্ট করে নাজমুল এই চাকরি পাওয়ার পর ভালোই চলছিল সংসার। কিন্তু হঠাৎ এমন খবরে ওর বাবা বুধবার সকালে অসুস্থ হয়ে আজ সকাল ১০টার দিকে অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এক ভাই এক বোনের মধ্যে নাজমুল ছোট। অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করেছে সে। তার বাবা কৃষিকাজ করে সংসার চালাতেন।

নাজমুলের বন্ধু কাউসার আলী ইমন বলেন, আমরা ২০১৯ সালে একসাথে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করি। এরপর নাজমুল জাহাজে চাকরি নেয়। তবে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর থেকে 'এমভি আবদুল্লাহ' জাহাজে কাজ শুরু করে।

 

Comments