সেঞ্চুরি করা ধনঞ্জয়া-কামিন্দুকে ফেরালেন নাহিদ

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

প্রথম সেশনে স্রেফ ৫৭ রানেই পড়ে গেল পঞ্চম উইকেট। খালেদ আহমেদ-শরিফুল ইসলামের নৈপুণ্যে উড়তে থাকা বাংলাদেশ তখন প্রতিপক্ষকে অল্পতে গুঁড়িয়ে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছিল। তবে সেই আশায় জল ঢেলে দেন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিস। পাল্টা আক্রমণে তারা এলোমেলো করে দিতে থাকেন স্বাগতিকদের বোলিং আক্রমণ। এতে বিপর্যয় সামলে ঘুরে দাঁড়ায় শ্রীলঙ্কা। শেষ সেশনে গিয়ে অবশ্য এই দুজনকে আউট করেছেন নাহিদ রানা।

শুক্রবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে দুই দলের দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় সেশনের খেলা শেষে সফরকারীদের সংগ্রহ ছিল ৪৯ ওভারে ২১৭ রান। চা-বিরতির পর নেমে দ্রুতই সেঞ্চুরিতে পৌঁছান কামিন্দু-ধনঞ্জয়া। সেঞ্চুরির পর পরই নাহিদের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে থামেন কামিন্দু। তাতে ভাঙে ২০২ রানের জুটি। অধিনায়ক ধনঞ্জয়াও তুলে নেন সেঞ্চুরি। পরের ওভারে তাকেও ক্যাচ বানান নাহিদ। ২৬৪ রানে সপ্তম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। 

মধ্যাহ্ন বিরতির পর ৯২ রান নিয়ে খেলতে নেমে আর কোনো উইকেট হারায়নি লঙ্কানরা। বলের সঙ্গে প্রায় পাল্লা দিয়ে তারা রান তুলছেন ক্রিজে থাকা দুই ব্যাটার। অধিনায়ক ধনঞ্জয়া চা-বিরতির আগে অপরাজিত ছিলেন ১০৮ বলে ৮৩ রানে। পরে ১৩১ বলে ১০২ রান করে আউট হন তিনি। 

শরিফুলের বলে শূন্য রানে স্লিপে মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে জীবন পাওয়া জীবন পাওয়া কামিন্দু চা-বিরতির আগে অপরাজিত ছিলেন ৯৯ বলে ৭৫ রানে। পরে ১১ চার ও ৩ ছক্কায় ১২৭ বলে ১০২ রান করে তিনি থামেন।

দ্বিতীয়  সেশনে খেলা হয় ২৭ ওভার। শ্রীলঙ্কা যোগ করে ১২৫ রান, হারায়নি কোনো উইকেট। এই সময়ে উইকেট তুলে নেওয়ার মতো কোনো সুযোগও তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশ। ফলে ক্রমেই হতাশা বাড়ে তাদের, যা শেষমেশ দূর করেন নাহিদ।

দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ঘণ্টাতে রীতিমতো ঝড় বয়ে যায় বাংলাদেশের বোলারদের ওপর দিয়ে। ১৩ ওভারেই চলে আসে ৭৮ রান। এর মাঝে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন ধনঞ্জয়া ও কামিন্দু। নাহিদের করা ৩২তম ওভারের তৃতীয় ডেলিভারিতে সিঙ্গেল ফিফটিতে পৌঁছান ধনঞ্জয়া। তার লাগে ৫২ বল। ঠিক পরের ডেলিভারিতেই ছক্কা হাঁকিয়ে ৫১ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন কামিন্দু।

এর আগে ১৬.২ ওভারের মধ্যে ব্যাটিং লাইনআপের প্রথম পাঁচজনকে হারায় লঙ্কানরা। টস জিতে টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বোলিং বেছে নেওয়ার পর বৃষ্টিভেজা কন্ডিশনে নতুন বলে দারুণ শুরু করেন দুই পেসার খালেদ ও শরিফুল। টপ অর্ডারের তিনজন— নিশান মাদুশকা, দিমুথ করুনারত্নে ও কুসল মেন্ডিসকে একাই ফেরান খালেদ। শরিফুলের শিকার হন দীনেশ চান্দিমাল। মাঝে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস রানআউট হন শান্তর সরাসরি থ্রোতে।

সেসময় ভীষণ চাপ সামলে দাঁড়িয়ে যান ধনঞ্জয়া ও কামিন্দু। প্রথম সেশনের শেষ ৩৬ বলে তারা আনেন ৩৫ রান। নিয়মিত আসতে থাকে বাউন্ডারি। দিনের শুরু থেকে বজায় রাখা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আলগা লাইন ও লেংথে বল করে উইকেটে তাদের থিতু হওয়াটা সহজ করে দেন বাংলাদেশের পেসাররা। অভিষিক্ত তরুণ পেসার নাহিদের ওপর দিয়ে আক্রমণের ঝাপটা যায় সবচেয়ে বেশি। শ্রীলঙ্কার বাউন্ডারির স্রোত জারি থাকে চা বিরতি পর্যন্ত।

পেসাররা টানা ২৬ ওভার করার পর দ্বিতীয় সেশনে আক্রমণে আসেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। কয়েক ওভার পর অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজের হাতেও বল ওঠে। তবে কেউই অস্বস্তিতে ফেলতে পারেননি ধনঞ্জয়া ও কামিন্দুকে।

Comments

The Daily Star  | English

Not satisfied at all, Fakhrul says after meeting Yunus

"The chief adviser said he wants to hold the election between December and June"

2h ago