রাজনীতি

কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল

‘এটা ভয়াবহ, একটি জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।’
কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

সারা দেশে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঈদ উপহার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

আমরা বিএনপি পরিবার নামে একটি সংগঠন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

ফখরুল বলেন, 'সারা বাংলাদেশে এমন একটা পরিবেশ-পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে মানুষ সব সময় একটা ভয়ে থাকে, ত্রাসে থাকে। ভয় ও ভয় প্রবণতা তৈরি করা হয়েছে। কখন, কাকে, কীভাবে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই।'

তিনি বলেন, 'একটা কথা কবে বলেছে, সেটার জন্য ১০ বছর পরেও মামলা হয়। মোবাইল এখন ব্যবহার করেন সবাই, ফেসবুকে মনের কথা লিখলে; যদি তাদের বিরুদ্ধে দেয়, সে যেখানে থাকুক, তাকে তুলে নিয়ে আসে।'

কারাবাসের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'একটি ছেলের সিরাজগঞ্জে বাড়ি, ফেসবুকের একটি পোস্টে লাইক দেওয়ার কারণে র‌্যাব তাকে তুলে নিয়ে এসে প্রায় ১৪ দিন নির্যাতন করে আরেকটি মিথ্যা মামলায় জেলে পাঠিয়েছে। সে এখনো জামিন পাচ্ছে না। এটা আমাদের একটা নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।' 

তিনি আরও বলেন, 'এই ফ্যাসিবাদী সরকার বিভিন্ন কৌশলে, বিভিন্ন পদ্ধতিতে নির্বাচন ব্যবস্থাটাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। একটি মিথ্যা-জালিয়াতির নির্বাচন করে, সেই নির্বাচন করে আবার সে ক্ষমতায় চলে আসে। আমরা বিএনপি এবং যারা গণতন্ত্রমনা দল আছি, তারা প্রথম থেকেই চেষ্টা করছি, আমরা সংগ্রাম করছি, লড়াই করছি। হাজার হাজার মানুষ রাজপথে আসছে, রাজপথে আমাদের ছেলেরা প্রাণ দিয়েছে।'

বিএনপি নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের রেহাই দেওয়া হয়নি মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, 'আমাদের ছত্রদল-যুবদলের ছেলেদের শারীরিকভাবে নির্মম নির্যাতন করা হয়েছে। কারও পায়ের নখ তুলে নেওয়া হয়েছে, কারও পা মুচড়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে, কারও হাত ভেঙে দিয়েছে এবং অবিশ্বাস্যভাবে সত্য যে, তারা কোনো চিকিৎসা পায়নি। তাদের সেইভাবে জেলে ফেলে দিয়ে গেছে, জেলেও তাদের কোনো চিকিৎসা হয়নি। আমরা বিভিন্নভাবে খবর নিয়ে, বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে তাদের জন্য চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। এটা ভয়াবহ, একটি জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।'

এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'মুক্তি পাওয়ার জন্য আমরা সংগ্রাম করছি। একটি গণতান্ত্রিক দলের পক্ষে যতটুকু সম্ভব নয় তার চেয়েও বেশি আমরা সংগ্রাম করছি, লড়াই করছি।

উপস্থিত বিএনপি নেতাকর্মীদের সন্তানদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, 'কখনো আশা হারাবে না। কখনো মনে করবে না যে সব কিছু শেষ হয়ে গেল। সব সময় মনে রাখতে হবে যে, এই গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ভোটের আন্দোলন, নিজের খাওয়া-পরার আন্দোলন, এটি ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন এবং সেই আন্দোলনে আমরা বিজয়ী হবো।'

Comments

The Daily Star  | English
Exporters cheer weaker taka

Exporters cheer weaker taka

Owing to a chaotic and volatile exchange rate, local exporters were desperate for the introduction of a floating exchange rate so they could draw more money and be more competitive.

1h ago