‘বল দেখো আর মারো’, পরাগের সহজ মন্ত্র

riyan parag
ফিফটির পর রিয়ান পরাগ। ছবি: আইপিএল

এবার আইপিএলে ভিন্ন এক রিয়ান পরাগের দেখা মিলছে। এর আগে এই তরুণের কাছ থেকে ১০-১৫ বলের বেশি ভরসা করা যেত না। সেই তিনি এখন বেশ পরিণত। পরিস্থিতি বুঝে দলের হাল ধরছেন, ক্রিজে থিতু হয়ে ঝড় তুলে ম্যাচ বের করছেন। পরিণত পরাগ আইপিএলের এবারের আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ২২ পেরুনো তরুণ জানালেন তার সাফল্যের মন্ত্র সরল।

সোমবার রাতে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে পরাগের ফিফটিতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় পায় রাজস্থান রয়্যালস। ট্রেন্ট বোল্টের তোপে মুম্বাইকে ১২৫ রানে আটকে সহজ লক্ষ্যই মিলেছিলো।

তবে রান তাড়ায় প্রথম ওভারেই যশভি জয়সওয়ালকে হারায় রাজস্থান, দ্রুত ফেরেন সঞ্জু স্যামসন, জস বাটলারও। এরপরই দলের হাল ধরেন পরাগ। রবীচন্দ্রন অশ্বিন শুভেম দুবেদের নিয়ে ম্যাচ শেষ করতে খেলেন ৩৯ বলে ৫৪ রানের ইনিংস।

এর আগে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ৪৫ বলে ৮৪, লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টের বিপক্ষে ২৯ বলে ৪৩ করে বড় ভূমিকা তার।  ৩ ম্যাচে ১৮১ রান করে বিরাট কোহলির সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ রান তার। তবে স্ট্রাইকরেট ও গড় বেশি থাকায় কমলা ক্যাপ উঠেছে তার মাথায়।

ম্যাচ শেষে জানালেন, চিন্তার প্যাটার্নে সামান্য বদল এনেই মিলছে সাফল্য,  'তেমন কিছু না আসলে। আমি আসলে অনেক কিছু করার বদলে সহজ করে নিয়েছি সব এর আগে আমি যখন রান করতাম আমি অনেক কিছু নিয়ে চিন্তা করতাম। বিভিন্ন কিছু করতে চাইতাম একসঙ্গে। পরে তা কাজে দিতে দিত। এই বছর লক্ষ্যটা একদম সহজ রাখতে চেয়েছি- বল দেখ আর মার।'

গত কয়েক মাসে আসামের হয়ে রঞ্জি ট্রফি, সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে আলো ছড়িয়েছেন পরাগ। গড়পড়তা পিঞ্চ হিটার থেকে আয়ত্ত করেছেন পরিণত ব্যাটারের দক্ষতা। সেসবই কাজে লাগছে বলে মনে হচ্ছে পরাগের,  'আমি আগেও বলেছি যখন আমি ঘরোয়াতে খেলি (অন্য আসর) তখনই একই রকম পরিস্থিতি থাকে। জস (বাটলার) আউট হওয়ার পর অ্যাশ (অশ্বিন) ভাই এলো কিছু সময় পর। আমি ভেবে নিয়েছি তখন আমার কি করা লাগবে। এই কাজটাই গত ছয় মাস আমি করেছি ঘরোয়া ক্রিকেটে। কাজেই সব কিছু হিসেব করে এগুনো সহজ ছিলো।'

Comments

The Daily Star  | English

Agri budget not enough to ensure food security: experts

The government has proposed a 3.55 percent rise in the budget allocation for agriculture, food, livestock and fisheries in the next fiscal year, setting aside Tk 39,620 crore..But agro-economists say the increase is far from sufficient to ensure the country’s long-term food security..<p

Now