কয়েক বছর আগেও রাস্তা-ঘাটে এত ভিক্ষুক দেখিনি: রিজভী

কয়েক বছর আগেও রাস্তা-ঘাটে এত ভিক্ষুক দেখিনি: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, চারদিকে বেদনার্ত মানুষের আহাজারি আর কান্না।

তিনি আরও বলেন, কয়েক বছর আগেও রাস্তা-ঘাটে এত ভিক্ষুক দেখা যায়নি।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ঈদ বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, 'মানুষ খুব কষ্টে আছে, ভীষণ কষ্টে আছে। ডানে-বামে, সামনে যেদিকে তাকাই, শুধু বেদনার্ত মানুষের আহাজারি আর কান্না আমরা দেখতে পাই। গতকাল বা পরশু মা তার সন্তানকে নিয়ে এসেছে হাটে বিক্রি করার জন্য। সংবাদপত্রে ছবি এসেছে। এটা ভাবা যায়!

'একজন শ্রমজীবী মানুষের আয় কত যে, ৮০ টাকা কেজি আলু কিনবে? রমজান মাসে অপরিহার্য খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে একটি লেবু। এক হালি লেবুর দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা হয়ে যাবে। দুর্ভিক্ষের শুধু পদধ্বনি নয়, দুর্ভিক্ষ চলমান। বিরাজমান দুর্ভিক্ষ,' বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, 'আজকে যদি কেউ লঙ্গরখানা খোলেন, দেখবেন কত মানুষ সেখানে এসে ভিড় করছে। রাস্তা-ঘাটে কয়েক বছর আগে এত ভিক্ষুক আমরা দেখিনি। আমরা প্রত্যক্ষ যেটা দেখছি, সেটা তো দেখছি—ভিক্ষুকের ঢল নেমেছে। এর মধ্যে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনও ছাপা হয়েছে, ঢাকা যেন ভিক্ষুকের নগরী।'

চারদিকে ভাত চাওয়ার আওয়াজ, চাল চাওয়ার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন রাখেন, 'এই আওয়াজের মধ্যে সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে গেল কীভাবে? সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে গেছে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কিছু লোকজন, আওয়ামী লীগের নেতাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজন। তাদের বাড়ি-ঘর, তাদের বিত্ত-বৈভব, তাদের টাকা-পয়সা, সহায়-সম্পদ বিবেচনা করলে সিঙ্গাপুরের কিছু ধনী মানুষের সঙ্গে মিল পাওয়া যায়।'

সিঙ্গাপুরের ধানীদের তালিকায় একজন বাংলাদেশির নাম আসার প্রসঙ্গ তুলে বিএনপির এই নেতা বলেন, 'জনগণকে প্রতারিত করে, জনগণকে ক্ষুধার্ত রেখে, জনগণকে অনাহারে রেখে, খাদ্যের সংস্থান না করে কিছু মানুষ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে এটা আর কথার কথা নয়। এটা বাস্তব, এটা সত্যি। ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা নিচ্ছে, ধারের ব্যাংক হয়ে গেছে। এই ব্যাংক ঈদের আগে মানুষ যে টাকা তোলে; ব্যাংকের তারল্য নেই। কোনো রকমে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।'

তিন মাসের আমদানি করার টাকা নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, 'রপ্তানি বাণিজ্য অনেক কমে গেছে। ভারত অনেক জিনিস নিচ্ছে না, কমে গেছে। সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের যে রপ্তানি, বিশেষ করে আমাদের গার্মেন্টস সেক্টর ও অন্যান্য প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গেছে। রপ্তানি যদি না বাড়ে, তাহলে মিল, কল-কারখানা তো থাকবে না! সেই পর্যায়ে নিয়ে গেছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Reward for looted police firearms brings no tips

More than 1,300 firearms and over 2,50,000 rounds of ammunition remain missing, with many reportedly now in the hands of criminals

1h ago