নরসিংদীতে মাইক্রোবাস-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ৯

কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়ে-মুচড়ে যায় মাইক্রোবাসটি। ছবি: সংগৃহীত

স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে নরসিংদীর মাধবদীতে মাইক্রোবাস ও কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে চার জন নিহত ও ৯ জন আহত হয়েছেন।

গতকাল বুধবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের টাটাপাড়া এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন নরসিংদী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কেএম শহিদুল ইসলাম সোহাগ।

নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

নিহতরা হলেন মীম আক্তার (২০) ও তার ভাই আবু হুরায়রা (৯), তাদের মামা মজিবুর মিয়া (২৫) এবং হেলাল মিয়া (৩২)।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম শহীদুল ইসলাম আরও জানান, মাইক্রোবাসটিতে তিন জন নারী, এক শিশুসহ মোট ১৩ জন যাত্রী ছিলেন। তারা সবাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার জালালপুর গ্রামের। ঢাকার খিলক্ষেত ও উত্তরা এলাকায় বসবাস করতেন তারা। একসঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, মাইক্রোবাসটি যাত্রী নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে যাচ্ছিল। অপরদিকে সিমেন্টবাহী একটি কাভার্ড ভ্যান ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। মাধবদীর টাটাপাড়া এলাকার এমএমকে ডাইংয়ের সামনে গাড়ি দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে–মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই এক শিশুর মৃত্যু হয়।

হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায় আরও তিন জন।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মাহমুদুল কবির বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় হতাহত ১৩ জনকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ জনকে মৃত অবস্থায় এবং ৯ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আহতদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকি দুজনকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কে এম শহীদুল ইসলাম বলেন, 'জব্দ হওয়া কাভার্ড ভ্যান ও মাইক্রোবাস হাইওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। কাভার্ড ভ্যানের চালক দুর্ঘটনার পর থেকে পলাতক।

Comments

The Daily Star  | English

Trump calls for Iran's 'unconditional surrender' as Israel-Iran air war rages on

Israel and Iran attacked each other for a sixth straight day on Wednesday, and Israeli air power reigns over Iran, but needs US for deeper impact

5h ago