দাম কমার সীমা ৩ শতাংশ কার্যকরের দিনে শেয়ারবাজারে বড় পতন

শেয়ারবাজার
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

শেয়ারের পতন ঠেকাতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) দরপতনের নতুন সীমা ৩ শতাংশ কার্যকরের দিনে শেয়ারবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে।

বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স দিনের শুরুতে প্রায় ১০০ পয়েন্ট কমে যায়, পরে বড় বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের কারণে সূচক আবার উর্দ্ধমুখী হয়।

দিন শেষে ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ৬০ পয়েন্ট বা এক শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫১৮ পয়েন্টে। যা সূচকের তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থান।

আজ শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানিগুলোর সূচক ডিএসইএস ১২ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২১৭ পয়েন্টে।

একইভাবে ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ ১০ পয়েন্ট বা শূন্য দশমিক ৫১ শতাংশ কমেন ১ হাজার ৯৭৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

একজন ব্রোকার বলেন, বিএসইসির এমন হস্তক্ষেপে বিনিয়োগকারীদের মাঝে আরও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে, তারা আশঙ্কা করছেন হয়তো তাদের বিনিয়োগ আবারও আটকে থাকবে। যেমনটা ঘটেছিল ফ্লোর প্রাইস চালুর পর।

'তাই তারা শেয়ার বিক্রি করে নগদ টাকা সংগ্রহের চেষ্টা করছেন। কারণ বর্তমানে ট্রেজারি বন্ডের ‍সুদহার প্রায় ১২ শতাংশ, ব্যাংক আমানতের সুদহারও বেশি,' বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'এমন পরিস্থিতিতে কে বা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে ঝুঁকি নিতে চাইবে? তাছাড়া শেয়ারবাজার আবার ধীর হয়ে যেতে পারে বলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশঙ্কা বেড়েছে। এই আশঙ্কায় বাজারের পতন আরও বাড়বে।'

গতকাল বিএসইসি জারি করা এক আদেশে বলেছে, তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দর ৩ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না। আগে যা ছিল ১০ শতাংশ।

তবে ঊর্ধ্বসীমা অর্থাৎ শেয়ারের দাম বাড়ার সীমা ১০ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

আজ ডিএসইতে ১২৯টি কোম্পানির শেয়ার ৩ শতাংশে নেমে লেনদেন শেষ করেছে, মোট লেনদেন হয়েছে ৩৯২টির। তাই বলা যায়, এসব কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা যতটা সম্ভব শেয়ার বিক্রির চেষ্টা করেছেন।

এদিন টার্নওভার ১৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫১১ কোটি টাকায়।

Comments

The Daily Star  | English

IMF loan tranches: Agreement with IMF at last

The government has reached a staff-level agreement with the International Monetary Fund for the fourth and fifth tranche of the $4.7 billion loan programme, putting to bed months of uncertainty over their disbursement.

10h ago