ওই বয়স তো নাই, মন চায় খেলে ফেলি: সুজন

Khaled Mahmud Sujon

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়নশিপ নিশ্চিত করতে আর কেবল একটা জয় বাকি আবাহনী লিমিটেডের। তবে জিম্বাবুয়ে সিরিজ উপলক্ষে তাদের ১০ জন খেলোয়াড় চলে গেছেন জাতীয় দলের স্কোয়াডে, আরও দুজন আছেন ইনজুরিতে। এই অবস্থায় শেখ জামাল ধানমন্ডির বিপক্ষে একাদশ সাজানো নিয়েই চিন্তায় খালেদ মাহমুদ সুজন। 

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সুপার লিগে মঙ্গলবার বিকেএসপিতে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে শেখ জামালের মুখোমুখি হবে টেবিলে অনেক এগিয়ে থাকা আবাহনী। খেলোয়াড় সংকটে যদিও এই ম্যাচে স্কোয়াডে শক্তির বিচারে তারা পিছিয়ে পড়েছে।

৩ মে থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সিরিজ সামনে রেখে রোববারই ঘোষণা করা হয় জাতীয় দল। তাতে জায়গা পেয়েছেন আবাহনীর লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক, আফিফ হোসেন ধ্রুব, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, তানজিম সাকিব, মোহাম্মদ সাইফউদ্দীন ও তানভির ইসলাম।

এরমধ্যে মাহমুদুল হাসান জয় ও খালেদ আহমেদও ইনজুরিতে পড়ায় বেশ বিপাকে তারা। একাদশ সাজাতে তাই সোমবার বয়সভিত্তিক পর্যায়ের কিছু ক্রিকেটার অনুশীলনে নিয়ে আসেন সুজন। অনুশীলনের পর মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। জানিয়েছেন জোড়াতালি দিয়ে একটা দল করার চেষ্টায় আছেন তারা,  'না আসলে ওই বয়স তো নাই (নিজেই নেমে যাবেন কিনা) । মন চায় খেলে ফেলি (হাসি)। কঠিন (খেলে ফেলা), দল করাই কঠিন এখন। ১০জন খেলোয়াড় নাই, খালেদ আর জয় ইঞ্জুরিতে। কাজেই ১২টা খেলোয়াড় নাই। ৬ জন আছ, এই ৬ জনের সঙ্গে আগে আমি এনেছিলাম আরও তিনজন, তাদের এনেছি। তাই ৯জন আছে। দেখি আরও দু'একজন পাওয়া যায় কিনা।'

প্রিমিয়ার লিগে এখন পর্যন্ত ১৩ ম্যাচের সবগুলো জিতে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আবাহনী। বাকি তিন ম্যাচ হারলেও রানরেটে এগিয়ে তাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ থাকছে। শিরোপা শতভাগ নিশ্চিত করতে প্রয়োজন একটা জয়। অনেক খেলোয়াড় চলে গেলেও লড়াই করার মানসিকতা জারি রাখছেন আবাহনী কোচ,  'যখন আপনি শেখ জামাল আর মোহামেডানের বিপক্ষে খেলবেন কঠিন তো বটেই। কাগজে কলমে এখন (১০ খেলোয়াড়  চলে যাওয়ায়) তারা আমাদের থেকে শক্তিশালী। আমি উদ্বিগ্ন না, লড়াই করব।'

'ইচ্ছা তো ছিলো অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন হবো। বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা।'

একটি সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় দলের স্কোয়াডে থাকা অন্তত তিনজন খেলোয়াড় আবাহনীর হয়ে মঙ্গলবারের ম্যাচটি এসে খেলতে পারেন। তবে সুজন এই ব্যাপারে নিশ্চিত করেননি,  'আমি জানি না কেউ আসবে কিনা। আমি আমার মতন যেখান থেকে পারি খেলোয়াড় নিয়ে আসছি।'

স্কোয়াডে নতুন খেলোয়াড় নেওয়ার সুযোগ থাকলেও প্রিমিয়ার লিগ বা প্রথম বিভাগ খেলেছেন এমন কাউকে নিতে পারবে না আবাহনী। কাজেই বয়সভিত্তিক পর্যায়ে ও বিভিন্ন একাডেমির খেলোয়াড় দিয়ে কাজ চালানোর চিন্তা তাদের,  'প্রথম বিভাগ যারা খেলেছে তাদের নিতে পারব না। একদম নিবন্ধিত নয় এমন খেলোয়াড় নিতে হবে। আমি রাজশাহী থেকে নিয়ে এসেছি দুজন। চেষ্টা করছি ১২-১৩ জন যোগাড় করতে। খালেদ আর জয় ইনজুরি না হলে এত সমস্যা হতো না।'

Comments

The Daily Star  | English

Expatriates' remittance helps Bangladesh make turnaround: Yunus

It is the expatriates who help sustain the country, says the chief adviser

3h ago