চট্টগ্রাম

পল্লী বিদ্যুত অফিসে কর্মবিরতি, ভোগান্তিতে গ্রাহক

সকাল থেকে চট্টগ্রামের তিনটি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করছেন। ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্য দূরীকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে দেশের অন্যান্য স্থানের মতো সকাল থেকে চট্টগ্রামের তিনটি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করছেন। এতে গ্রাহকেরা সেবা নিতে ভোগান্তিতে পড়ছেন বলে জানা গেছে।

আজ রোববার সকাল ৯টা থেকে সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মবিরতি পালন শুরু করেন।

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) মধ্যকার বৈষম্য দূরীকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে বলে জানান পবিসের কর্মকর্তারা।

তবে বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভবিক রাখতে প্রতিটি উপকেন্দ্রে সীমিত সংখ্যক জনবল রেখে সব ধরনের গ্রাহক সেবা ও অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানান তারা।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের তিনটি পবিসে কর্মবিরতি চলায় গ্রাহকেরা সেবা নিতে এসে অপেক্ষা করছেন। অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য চলা এ কর্মসূচির কারণে ভোগান্তি আর‌ও বাড়তে পারে বলে জানান সেবা গ্রহীতারা।

বৈদ্যুতিক মিটার পরিবর্তনের আবেদন নিয়ে সীতাকুণ্ড জোনাল অফিসে গিয়েছিলেন দোকান মালিক আরিফ খন্দকার। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন সব কর্মকর্তা জোনাল অফিস থেকে মিরসরাই সদর দপ্তরে গিয়ে কর্মবিরতির ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছেন।

তিনি বলেন, 'সংস্কার শেষে নতুন দোকানে মিটার স্থনান্তর প্রয়োজন। সকালে গিয়ে দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করে কাউকে পাইনি। আমার মতো আরও অনেকেই সেবা নিতে এসে ভোগান্তিতে পড়েছি।'

চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ ৩ (মিরসরাই) সমিতির মহাব্যবস্থাপক মৃদুল কান্তি চাকমা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সারা দেশের সঙ্গে চট্টগ্রামের তিনটি পবিসেও কর্মবিরতি পালন করা হচ্ছে। তবে গ্রাহকরা যাতে হয়রানির শিকার না হন সেদিকেও খেয়াল রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।'

গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশের প্রায় ৪ কোটি গ্রাহক এবং ৮০ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ কাজে নিয়োজিত রয়েছে ৮০টি পবিসের প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারী। বিআরইবি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এসব সমিতির কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রতিনিয়ত নানা ধরনের বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, 'এসব বৈষম্যের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ জানানো হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। সম্প্রতি এ বিষয়ে স্মারকলিপি দেয়ায় পবিসের ছয় জন সহকারী মহাব্যবস্থাপককে সাময়িক বরখাস্ত করাসহ আইনের দোহাই দিয়ে শাস্তি দেয়া হয়েছে।'

বৈষম্য দূরীকরণের জন্য বেতন কাঠামো ও সরকার প্রদত্ত সুযোগ সুবিধা বিআরইবির সঙ্গে সমানভাবে পরিপালন, সাপ্তাহিক ছুটি একদিনের পরিবর্তে দুই দিন এবং পদন্নোতি ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রে বিআরইবির সঙ্গে সমন্বয় করার দাবি জানানো হয়।

দাবি আদায় না হলে কিংবা কর্মসূচি পালনের কারণে হয়রানি করা হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

1h ago