লিটন-শান্তর উপর বিশ্বাস রাখতে বলছেন হৃদয়

Litton Das and Najmul Hossain Shanto
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম তিন ম্যাচ জিতেই সিরিজ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। এমন ফলই ছিলো প্রত্যাশিত। তবে দল জিতলেও বিশ্বকাপ সামনে রেখে দুশ্চিন্তা দূর হচ্ছে না। বিশেষ করে দলের অভিজ্ঞ দুই ব্যাটারের পারফরম্যান্স তৈরি করেছে প্রশ্ন, তাড়াতে পারছে না অস্বস্তি। তবে প্রথম তিন ম্যাচে রান না পেলেও লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্তর উপর বিশ্বাস হারানো যাবে না বলে মনে করছেন ম্যাচ সেরা তাওহিদ হৃদয়।

টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় দ্বিতীয় ম্যাচেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন হৃদয়। তৃতীয় ম্যাচও তিনিই আবার সেরা। এবার ৬০ রানে ৩ উইকেট পড়ার পরিস্থিতি থেকে জাকের আলি অনিককে নিয়ে গড়েন ৫৮ বলে ৮৭ রানের জুটি। তার ৩৮ বলে ৫৭ রানে ভর করে ১৬৫ রান করে ৯ রানে ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ।

তবে আগে ব্যাটিং পেয়ে টপ অর্ডার ব্যাটাররা জ্বলে উঠলে রান যেতে পারত দুইশোর কাছে। লিটন-শান্তদের আরেকটি ব্যর্থতার দিনে তা হয়নি। ম্যাচ জিতলেও হৃদয়ের যেমন মনে হচ্ছে, 'অন্তত ১০ রান কম হয়েছে।'

অন্য সংস্করণ সম্প্রতি রান খরায় ভুগতে থাকা লিটন টি-টোয়েন্টিতেও তাল খুঁজে পাননি। প্রথম ম্যাচে ১ রান করে বোল্ড হওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো শুরু করেও গুটিয়ে গিয়ে করেন ২৫ বলে ২৩। আজ ১৫ বলে ১৩ রান করে আউট হন দৃষ্টিকটুভাবে। ব্লেসিং মুজারাবানিকে পর পর তিনবার স্কুপ মারতে গিয়ে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হন এই ওপেনার।

শান্তর অবস্থাও একই। আগের দুই ম্যাচে ২৪ বলে ২১ ও ১৫ বলে ১৬ করার পর এদিন তিনি থামলেন ৪ বলে ৬ রান করে। টি-টোয়েন্টিতে গত এক বছর ধরে তার স্ট্রাইকরেট ১০৯, গড়ও বিশের নিচে। অথচ আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই দুই ব্যাটারের উপর করে বাংলাদেশের অনেক স্বপ্ন।

তাদেরকে নিয়ে উঠতে থাকা প্রশ্ন সংবাদ সম্মেলনে গেল হৃদয়ের কাছেও। স্বাভাবিকভাবেই খারাপ সময়ে সতীর্থদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি,   'ঠিক আছে দু একটা ইনিংস এদিক সেদিক হতেই পারে। আবার যেদিন ভালো শুরু করবে সেদিন দেখবেন তারাই (লিটন-শান্ত) ম্যাচ জিতিয়ে দিয়েছে। টপ অর্ডারে ব্যাটিং করে তারাই দেখবেন ম্যাচে একদিন ১০০ বা আমাদের জন্য অবদান করবে।'

মঙ্গলবার ম্যাচ জিতলেও লিটনের আউট নিয়ে চর্চা হচ্ছে বেশি। মুজারাবানিকে পর পর দুই বলে স্কুপ করতে গিয়ে সফল না হয়েও তৃতীয় বার একই চেষ্টায় গিয়ে স্টাম্পে টেনে আনেন বল।

লিটনকে নিয়ে চলা সমালোচনার জবাব দিলেন হৃদয়,  'দেখেন কেউ তো ইচ্ছা করে উইকেট দিয়ে আসে না। লিটন ভাই বা যারা টপ অর্ডাররা খেলে তারা চেষ্টা করছে নিজের সেরাটা দিয়ে। একটা ক্রিকেটার সবসময় ভালো খেলবেন না। লিটন ভাই….উনার স্ট্রাইকরেট নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে শুনতেছি। আসলে চেক করে দেখলে দেখা যাবে এখনও উনার স্ট্রাইকরেট  বাংলাদেশের  কয়েকজনের ভেতরে আছে মনে হয়, (সেরা) দুই তিনজনের ভেতরে।'

হৃদয়ের মতে লিটন-শান্ত হয়ত বড় ম্যাচেই ফিরে আসবেন চেনা রূপে, কাজেই তাদের উপর রাখতে হবে ভরসা,  'আসলে বিশ্বের যত বড় ব্যাটারই হোক সে প্রতিটা ম্যাচ বা সিরিজে ভালা করবে না। আশা করছি যে যারা ভালো করছেন না তারা খুব দ্রুত ফিরবেন। একটা ইনিংস ভালো করলেই ফিরবেন। এমনও হতে পারে খুব বড় খেলায় দেখা যাচ্ছে খেলার সিনারিও চেঞ্জ করে দেবেন। আমাদের সবার বিশ্বাস রাখতে হবে, বিশ্বাসটা হারালে হবে না।'

Comments

The Daily Star  | English

Transitioning from autocracy to democracy: The four challenges for Bangladesh

The challenges are not exclusively of the interim government's but of the entire political class.

2h ago