জেতার পাশাপাশি অন্য যা চায় বাংলাদেশ

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে এর আগে তিনটা টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ, জিতেছে সবগুলোতেই। ২০২২ সালে অবশ্য একটি ম্যাচে হয়েছিলো তুমুল লড়াই। সময় যতই খারাপ যাক, আমিরাতের মতন পিছিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে পরিষ্কার ফেভারিট হিসেবেই মাঠে নামবে লিটন দাসের। দুই ম্যাচের সিরিজে স্বাগতিক দলকে হোয়াইটওয়াশ করাটাই স্বাভাবিক ফল। এই প্রত্যাশা পূরণেই সীমাবদ্ধ নয়, লিটন জানালেন এই সিরিজে নিজেদের কিছু ঘাটতির জায়গা পূর্ণ করতে চান তারা।
আজ বাংলাদেশ সময় রাত নয়টায় শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-সংযুক্ত আরব আমিরাত। সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দল তিন দিন আগেই গেছে সেদেশে। শুক্রবার শারজায় অনুশীলনের পর ভিডিও বার্তায় লিটন পরিষ্কার করলেন তাদের লক্ষ্য, 'এই দুই ম্যাচ থেকে প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে দুইটা ম্যাচ যেন আমরা জিততে পারি, এটা প্রথম অগ্রাধিকার। একই সঙ্গে আমরা চাইব যেন আমাদের ঘাটতি জায়গুলা যা নিয়ে কিছুদিন যাবত কাজ করেছি, সেগুলো যেন পূর্ণ করতে পারি।'
ঘাটতির জায়গা কী কী লিটন পরিষ্কার না করলেও আঁচ করা যায় তার অন্যতম হচ্ছে ব্যাটিং। বিশেষ করে টপ অর্ডারের আগ্রাসী শুরু। মাঝের ওভারে মিডল অর্ডারের টেনে নেওয়া। লিটন নিজেও ঠিক ছন্দে নেই। রান না পেলে নেতৃত্বের চাপ আসবে তার উপর। কাজেই শুধু জয় নয়, ব্যবধানটাও মুখ্য থাকবে সফরকারী দলের।
আমিরাত কখনো বাংলাদেশকে হারাতে না পারলেও সীমিত সংস্করণে নিয়মিত খেলার মধ্যে আছে তারা। দলে কিছু পাওয়ার হিটারও আছে তাদের। প্রতিপক্ষকে তাই একদম হেলা করতে চান না বাংলাদেশ অধিনায়ক, 'আমরা আমাদের চেষ্টাটা করব ভালো ক্রিকেট খেলার। ইউএইর মাটিতে ইউএই অনেক ভালো দল। তারা এখানে নিয়মিত খেলে, এই কন্ডিশন সম্পর্কে তাদের ভালো ধারণা আছে। কিন্তু আমাদের দলটা অনেক ভালো। আমরা মানিয়ে নিয়ে ভালো ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করব।''
আগামী ২০২৬ বিশ্বকাপ সামনে রেখে নতুন শুরুর এই সিরিজে দলের ক্রিকেটারদের নির্ভার থেকে নিজের সেরাটা দেওয়ার বার্তা লিটনের, 'বার্তা একটাই থাকবে যেন সবাই নির্ভার থাকে। যেহেতু এই সংস্করণে অনেক চিন্তা আসে, আমি চাইব প্রত্যেকটা খেলোয়াড় তার জায়গা থেকে যত মনখুলে খেলতে পারে। খেলাটা উপভোগ করতে পারে। ফলের কথা অতটা না ভেবে। ফল আসবেই, আমরা কতটা প্রক্রিয়া অনুসরণ করছি এটা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।'
Comments