সেতু ভেঙে খালে, দুর্ভোগে তালতলীর ১০ গ্রামের মানুষ

বরগুনার তালতলী উপজেলায় সোনাকাটা ইউনিয়নের কবিরাজপাড়ার স্লুইজ খালের ওপর নির্মিত লোহার সেতুটি সোমবার মাঝ বরাবর ভেঙে পড়ে। ছবি: সংগৃহীত

বরগুনার তালতলীতে সেতু ভেঙে খালে পড়ে গিয়ে অন্তত ১০ গ্রামের মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। 

উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের কবিরাজপাড়ার স্লুইজ খালের ওপর প্রায় ৩০ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল লোহার সেতুটি।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নির্মিত সেতুটি দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় গত সোমবার দুপুরে মাঝ বরাবর ভেঙে খালে পড়ে যায়।

স্থানীয়রা জানান, সেতুটি দিয়ে উপজেলার নিশানবাড়িয়া, সওদাগর পাড়া, বারোঘর বাজার, চেয়ারম্যান বাজার, কুয়াকাটা, লাউপাড়া, তাঁতীপাড়া, ফকিরহাট, তালতলীসহ ১০ গ্রামের মানুষ চলাচল করে। 

তবে, নির্মাণের পর থেকে সংস্কারের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। গত প্রায় ৫-৬ বছর আগেই এটির বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়তে শুরু করে। সেতুর লোহার পাইলগুলো অনেক আগেই ক্ষয়ে গেছে। সোমবার দুপুরের দিকে সেতুটির মাঝ বরাবর দুই ভাগ হয়ে খালের মধ্যে ধসে পড়ে। 

সেতুটি ভেঙে পড়ায় বিকল্প পথে কমপক্ষে দুই কিলোমিটার ঘুরে এসব গ্রামের লোকজনদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। 

লাউপাড়া এলাকার বাসিন্দা নাঈম হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সেতুটি ভেঙে পড়ায় এখন আমাদের বিকল্প পথে প্রায় দুই কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। এতে শিশু-নারী, বৃদ্ধ, রোগীসহ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই দ্রুত নতুন একটি সেতু পুনর্নির্মাণ দরকার।'

স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরজাহান বেগম ডেইলি স্টারকে বলেন, '৩০ বছর আগের নির্মাণ করা সেতুটি গত ৮ বছর আগে থেকেই ভেঙে পড়তে শুরু করে। এখন পুরোপুরি ভেঙে খালে পড়ে গেছে। সংস্কারের অভাবে আজ সেতুটির এমন অবস্থা হয়েছে।'

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরাজী মো. ইউনুচ বলেন, 'দীর্ঘদিন সংস্কার না করার ফলে সেতুটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল। এখানে দ্রুত একটি নতুন সেতু স্থাপন করা প্রয়োজন। এ বিষয় এলজিইডির সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।'

যোগাযোগ করা হলে এলজিইডির তালতলী উপজেলার প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি, দ্রুত এই সেতুটির প্রাক্কলন তৈরি করে অনুমোদনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। অনুমোদন ও অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষে এখানে নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

The life cycles of household brands

For many, these products are inseparable from personal memory

13h ago