চলে গেলেন কানাডার নোবেল বিজয়ী লেখক এলিস মুনরো

মারা গেছেন নোবেলজয়ী এলিস মুনরো। ছবি: এএফপি
মারা গেছেন নোবেলজয়ী এলিস মুনরো। ছবি: এএফপি

 

সাহিত্যে নোবেলজয়ী কানাডীয় লেখক এলিস মুনরো (৯২) মারা গেছেন। মূলত ছোটগল্পের জন্য বিখ্যাত ছিলেন তিনি।

গতকাল মঙ্গলবার এলিসের সম্পাদকের বরাত দিয় এই তথ্য জানিয়েছে এএফপি।

তিনি ওন্টারিও প্রদেশের পল্লী অঞ্চলের পটভূমিকায় বেশ কিছু গল্প লেখেন, যেগুলোতে মানবজীবনের ভঙ্গুরতার চিত্র উঠে এসেছে।

২০১৩ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল ও ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক বুকার পুরষ্কার জয় করেন।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি স্মৃতিক্ষয় রোগে ভুগছিলেন।

এলিসের সম্পাদক ডেবোরা ট্রিসম্যান ও দীর্ঘদিনের বন্ধু ডেভিড স্টেইন্স নিশ্চিত করেন, তিনি সোমবার গভীর রাতে ওন্টারিওর এক সেবাকেন্দ্রে মারা গেছেন।

স্টেইনস বলেন, 'তিনি আমাদের আমলের সেরা ছোট গল্প লেখক ছিলেন। মানুষ হিসেবেও তিনি অসাধারণ ছিলেন।'

কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, 'বিশ্ব আজ অন্যতম সেরা একজন গল্পলেখক হারালো।'

'তিনি প্রকৃত অর্থেই ছিলেন একজন প্রতিভাবান সাহিত্যিক…জীবন, বন্ধুত্ব ও মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে তার লেখা ছোট গল্পগুলো পাঠকদের মনে দাগ কেটেছে', যোগ করেন তিনি।

লেখালেখির ক্ষেত্রে অসামান্য সাফল্য ও বেশ কিছু পুরষ্কার পাওয়ার পরও এলিস নিভৃতচারী হিসেবেই তার জীবন পার করেছেন। তিনি তার গল্পের চরিত্রের মতোই সহজ-সরল ছিলেন। অকারণ বিলাসিতা করেননি কখনোই।

মার্কিন সাহিত্য সমালোচক ডেভিড হোমেল এলিস সম্পর্কে বলেন, 'তিনি অতটা মিশুক নন। বস্তুত, তাকে জনসম্মুখে দেখা যায় না বললেই চলে। তিনি তার বইগুলোর প্রচারণাতেও যোগ দেননি।'

১৯৩১ সালের ১০ জুলাই ওন্টারিওর উইংহ্যামে জন্ম নেন এলিস। পল্লী অঞ্চলেই বেড়ে ওঠেন তিনি। তার বাবা রবার্ট এরিক লেইডলো শিয়াল ও হাঁস-মুরগি পালতেন। তার মা ছিলেন স্কুল শিক্ষিকা।

১১ বছর বয়সে এলিস লেখক হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাননি তিনি।

এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'আমি লেখক হিসেবে সফল হয়েছি কারণ আমার অন্য কোনো ধরনের প্রতিভা ছিল না।'

'আমি বুদ্ধিজীবী নই। গৃহবধূ হিসেবে আমার জীবনটা খারাপ ছিল না, কিন্তু তেমন অসামান্য কিছুও ছিল না। লেখালেখি ছাড়া অন্য কিছুই আমাকে তেমন আকর্ষণ করেনি', যোগ করেন তিনি।

এলিস আরও বলেন, 'এটাকে (সাহিত্য) সবসময় আমার কাছে যাদুর মতো মনে হতো।'

এলিসের প্রথম গল্প 'দ্য ডাইমেনশনস অব শ্যাডো' ১৯৫০ সালে প্রকাশিত হয়। সে সময় তিনি ওয়েস্টার্ন ওন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছিলেন।

সমালোচকরা পুরুষদের ছোট না করেও নারীদের নিয়ে লেখার জন্য এলিসের প্রশংসা করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

6h ago