শেষ ওভারের স্নায়ুচাপ জেতা দয়ালে মুগ্ধ দু প্লেসি
গত আইপিএলে রিঙ্কু সিংয়ের হাতে টানা পাঁচ ছক্কা হজম করেছিলেন যশ দয়াল। হতাশায় ভেঙে পড়তে হয়েছিলো তাকে। বাঁহাতি এই পেসার এবার পেলেন অন্যরকম দিন। ভীষণ চাপের ওভারে দলকে জিতিয়ে প্লে অফে তুলতে রেখছেন বিশাল অবদান। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি তো তাকে নিয়ে মুগ্ধ।
এদিন চেন্নাই সুপার কিংসকে স্রেফ হারালেই হতো না। অন্তত ১৮ রানের ব্যবধান রেখে জিতলেই রানরেটে এগিয়ে প্লে অফে যাওয়ার সমীকরণ ছিলো বেঙ্গালুরুর। সেটাই তারা করেছে, জিতেছে ২৭ রানে।
তবে সেই জয়ে একটা সময় শঙ্কা জেগেছিলো। সমীকরণ মেলাতে শেষ ওভারে চেন্নাইর দরকার ছিলো ১৭। দয়ালের প্রথম বলেই ফাইন লেগ দিয়ে বিশাল এক ছক্কা মারেন কিংবদন্তি মাহেন্দ্র সিং ধোনি। ৫ বলে তখন ১১ রানের সহজ হিসাব। দয়াল অমন চাপে নিজেকে হারিয়ে ফেলেননি। পরের বল দেন স্লোয়ার। ধোনি তাতে হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ দেন স্কয়ার লেগে। পরের চার বলে দয়াল দেন আর স্রেফ ১ রান।
আর দুর্দান্ত শেষ ওভারে ম্যাচ বের করে শেষ চার নিশ্চিত করে আইপিএলে এবার শুরুতে টানা হারতে থাকা বেঙ্গালুরু। এমন জয়ের পর স্বাভাবিকভাবে দয়ালকে নিয়ে উচ্ছ্বাসে ভেসেছেন দু প্লেসি, 'তাকে বলেছিলাম এই পিচে বলের গতি খুব বাড়ানো দরকার নেই। ও অসাধারণ দক্ষতায় সেই কাজ করে দিল। ভীষণ আনন্দ পেয়েছি ওর বোলিং দেখে।'
আইপিএলে এবার প্রথম ৮ ম্যাচের সাতটিতেই হারে বেঙ্গালুরু। টেবিলের তলানিতে পড়া থাকা দলটি সবার আগে বিদায় নিবে বলে মনে করছিলেন বেশিরভাগ। হিসাব বদলে যায় পরে। টানা ছয় জয়ে সেই দলটিই এখন ফাইনালে যাওয়ার দৌড়ে টিকে আছে। বেঙ্গালুরুর এমন জয়ে বাধবভাঙ্গা আনন্দে ভেসেছেন সমর্থকরা। তবে এই সমর্থকরা দলের চরম দুঃসময়েও সমর্থন দিয়েছেন। দু প্লেসি স্মরণ করলেন সেই সময়টাও, 'ঘরের মাঠে প্লে-অফ নিশ্চিত করে মৌসুম শেষ করতে পারলাম। এর চেয়ে আনন্দের আর কী হতে পারে। ম্যাচের শুরুতে বৃষ্টি হওয়ায় চিন্তায় পড়েছিলাম। উইকেট খুব কঠিন হয়ে যায়, আমরা এমনটা চাইনি। কিন্তু ব্যাটাররা অসাধারণভাবে নিজেদের কাজটা করে বড় রান তুলেছে।'
'আমরা যখন টানা হারছিলাম তখন গ্যালারিতে বিপুল সমর্থন পেয়েছি। এবার তাদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করতে নেওয়ার তৃপ্তি অনুভব করছি।'
Comments