উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১১৬ কোটিপতি প্রার্থী: টিআইবি

বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপেও প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের বেশিরভাগ ব্যবসায়ী।

এই ধাপে অংশ নিতে যাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ৫৭ শতাংশের বেশি প্রার্থী পেশা হিসেবে ব্যবসা উল্লেখ করেছেন বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

টিআইবি আরও জানায়, দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭০ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ প্রার্থী ব্যবসায়ী।

আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠেয় ১৬০ উপজেলায় নির্বাচনে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

আজ রোববার ধানমন্ডিতে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ (২য় ধাপ)-এ অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণ ও টিআইবির পর্যবেক্ষণ প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।

টিআইবি জানায়, প্রথম ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ৭০ শতাংশ ব্যবসায়ী, ৬৭ শতাংশ ভাইস চেয়ারম্যান এবং ২৪ শতাংশ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ব্যবসায়ী ছিলেন।

এছাড়া চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে কোটিপতি রয়েছেন ১০৫ জন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তুলনায় এবার কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে।

চেয়ারম্যান ছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে আট জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন জন কোটিপতি প্রার্থী রয়েছেন। সব পদে মোট কোটিপতি প্রার্থীর সংখ্যা ১১৬ জন।

কোটিপতির হিসাব করা হয়েছে অস্থাবর সম্পদের ভিত্তিতে। টিআইবি জানায়, জমির মতো স্থাবর সম্পদকে মানদণ্ড হিসেবে আনা হয়নি কারণ এগুলোর মূল্য নির্ধারণ করা কঠিন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে ১৬০টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন থেকে ১৫৭টি উপজেলার প্রার্থীদের হলফনামার তথ্য পাওয়া গেছে, এই ১৫৭টি উপজেলার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৯৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৮৯ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫২৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

টিআইবির বিশ্লেষণে দেখা যায়, দ্বিতীয় ধাপে ৭০ দশমিক ৫১ শতাংশ চেয়ারম্যান প্রার্থী নিজেদের ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ পেশা কৃষি দেখিয়েছে। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছেন আইনজীবী (৪ দশমিক ১৭ শতাংশ) ও শিক্ষক (৪ দশমিক ১৭ শতাংশ)।

একইভাবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রায় ৬৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ প্রার্থী নিজেদের ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। ৫২ শতাংশ নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নিজেকে গৃহিণী হিসেবে দেখিয়েছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ শতাংশ ব্যবসায়ী বলেছেন। এর পরের অবস্থানে রয়েছেন শিক্ষক ও কৃষক।

টিআইবি বলছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ক্রমেই বাড়ছে ব্যবসায়ী প্রার্থীদের সংখ্যা। ২০১৪ সালের চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তুলনায় ব্যবসায়ী প্রার্থীর সংখ্যা ৮ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে গৃহিণী/গৃহকর্মী, কৃষিবিদ ও শিক্ষক প্রার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমছে।

টিআইবির পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ক্ষমতায় থাকাকালীন আয় ও সম্পদ দ্রুত বৃদ্ধির প্রবণতা স্পষ্ট। শুধু ভোটাররাই নয়, তাদের স্ত্রী এবং নির্ভরশীলদের আয় ও সম্পদও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। যারা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় আছেন তাদের আয় ও সম্পদ বেশি থাকারও একটি স্পষ্ট প্রবণতা দেখা গেছে।

এর আগে প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীদের প্রায় ৭০ শতাংশই ছিলেন ব্যবসায়ী। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে কোটিপতি ছিলেন ৯৪ জন।

স্থাবর সম্পদের তালিকায় শীর্ষে সেনবাগের জাহাঙ্গীর

অস্থাবর সম্পদের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন নোয়াখালীর সেনবাগের চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। তার মোট অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৮৪ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। তালিকার ২ নম্বরে আছেন ঢাকার ধামরাইয়ের সুধীর চৌধুরী, তার সম্পদের পরিমাণ ৩৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। তৃতীয় অবস্থানে আছেন মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী, তার অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।

Comments

The Daily Star  | English

Remittance-rich Sylhet ranks poorest in new index

Long seen as the “London of Bangladesh” for its foreign earnings and opulent villas, Sylhet has been dealt a sobering blow. The country’s first Multidimensional Poverty Index (MPI) has revealed that the division is, in fact, the poorest in Bangladesh when measured by access to education, healthc

5h ago