জিয়াউর রহমান বাকশালে যোগ দেননি: ফখরুল

‘বিভ্রান্ত হচ্ছি আমরা সব সময়। র‌্যাবের বিরুদ্ধে হয়েছে। র‌্যাব সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ, পুলিশের নয়জন ছিল। তখনো স্যাংশন হয়েছিল। তাতে কি ওদের সেই ভয়ঙ্কর যাত্রা বন্ধ হয়েছে?’
জিয়াউর রহমান বাকশালে যোগ দেননি: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের জবাবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জিয়াউর রহমান বাকশালে যোগ দেননি।

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শফিউল আলম প্রধানের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, 'কয়েক দিন আগে মেজর (অব.) হাফিজ সাহেব আমাকে ফোন করলেন। আমাকে জানালেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন জিয়াউর রহমান বাকশালে যোগ দিয়েছিলেন। এই কথাটা কবে কোথায় উঠেছে আমরা কেউ জানি না।'

সে সময় মেজর (অব.) সাহেব জিয়াউর রহমান স্টাফ প্রধান ছিলেন জানিয়ে ফখরুল বলেন, 'যখন বাকশালের ফরম সবাইকে দেওয়া হচ্ছে। সব সরকারি কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলকভাবে বাকশালে যোগ দিতে হবে। তখন সেনাবাহিনীর উপপ্রধান জিয়াউর রহমান। তার কাছেও সেই ফরম এসেছিল।

'জিয়াউর রহমান বাংলা খুব ভালো বুঝতেন না অতটা; যেটা জটিল শব্দ। ওনি হাফিজ সাহেবকে কাগজ দেখিয়ে বললেন—হাফিজ দেখো তো এর মধ্যে কী আছে? হাফিজ সাহেব বললেন বাকশালে যোগ দেওয়ার কথা। তখন তিনি বলেন, তুমি এক কাজ করো, ফরমটা সবচেয়ে নিচের ফাইলে রেখে দাও। অর্থাৎ তিনি বাকশালে যোগ দেননি,' বলেন ফখরুল।

ফখরুল বলেন, 'আমার নিজের ঘর যদি আমি নিজে সামলাতে না পারি, অন্য কেউ আমার ঘর সামাল দেবে না। অনেকেই খুশি হবেন যে, আজিজের স্যাংশন এসেছে। আমি মনে করি, ওটা হচ্ছে আরেকটা বিভ্রান্ত করা।'

তিনি বলেন, 'বিভ্রান্ত হচ্ছি আমরা সব সময়। র‌্যাবের বিরুদ্ধে হয়েছে। র‌্যাব সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ, পুলিশের নয়জন ছিল। তখনো স্যাংশন হয়েছিল। তাতে কি ওদের সেই ভয়ঙ্কর যাত্রা বন্ধ হয়েছে? বন্ধ হয়নি। নিজেদের পায়ে নিজেদের দাঁড়াতে হবে, নিজের শক্তি নিয়ে দাঁড়াতে হবে এবং নিজেদের শক্তি নিয়েই তাদের পরাজিত করতে হবে।'

বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'অনেক সময় ভুল ব্যাখ্যা করা হয়, আমরা তাদের উৎখাত করতে চাই। আমরা উৎখাতের কথা বলি না, উৎখাত করতে যাব কেন! আমরা ভোটের অধিকার চাই, সেই ভোটের মধ্য দিয়ে আমরা তাদের পরাজিত করব। সেই ভোটের অধিকার অর্জন করার জন্য আমাদের সবাইকে প্রয়োজনে আরও ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।

'আমরা লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি—আমরা কোনো র‌্যাডিক্যাল পার্টি বা রেভ্যুলুশনারি পার্টি নই। লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির লক্ষ্য হলো একটা নির্বাচন, সেই নির্বাচনটা যাতে সুষ্ঠু হয়, অবাধ হয়, সরকার যেন কোনো প্রভাব বিস্তার করতে না পারে, সেই জায়গায় আমরা যেতে চাই। ওরা তো সেটা দেবে না। আমাদের সেটা অর্জন করতে হবে,' যোগ করেন তিনি।

Comments