কমপক্ষে সেমিফাইনাল খেলতে চান হৃদয়

Towhid Hridoy

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রস্তুতিমূলক সিরিজেই বড় ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ দল। সিরিজ হেরেছে সহযোগী সদস্য দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। নাজমুল হোসেন শান্তদের নিয়ে বিশ্বকাপে সমর্থকদের প্রত্যাশার সীমানাও তাই হয়ে গেছে ছোট। তবে তাওহিদ হৃদয়ের আশার সীমা বড়ই থাকছে। এবার বিশ্বকাপে সুপার এইট তো বটেই কমপক্ষে সেমিফাইনাল খেলতে চান তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যারিবিয়ানে হতে যাওয়া বিশ্বকাপে বাংলাদেশ আছে 'ডি' গ্রুপে। সেখানে প্রতিপক্ষে শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস ও নেপাল। পরের রাউন্ডে যেতে হলে থাকতে হবে সেরা দুই দলের মধ্যে, এই কাজটাও সহজ নয়।

তবে বিসিবির প্রকাশিত ভিডিওতে হৃদয় বলছেন, বিশ্বকাপে তার ব্যক্তিগত লক্ষ্য নেই। দল হিসেবে সুপার এইট ছাড়িয়ে তারা যেতে চান সেরা চারে,  'এবারের বিশ্বকাপে নিজের নামের পাশে কিছু দেখতে চাই না। আমি চাই দল যেন ভালো করে। আমার জায়গা থেকে অবশ্যই নিজের সেরাটা দিয়ে অবদান রাখার চেষ্টা করব। আমি চাই আমার দল কমপক্ষে সেমিফাইনাল খেলুক।'

২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো বাংলাদেশ। অনূর্ধ্ব-১৯ সেই দলের হৃদয়, তানজিদ হাসান তামিম, শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব আছেন বর্তমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলেও। জুনিয়র পর্যায়ে নিজেদের সাফল্যের কথা স্মরণ করে বড়দের আসরেও সেরা হওয়ার তাগিদ অনুভব করছেন হৃদয়,  'চোখ খুলেও এখনো অনুভব করি যে কী হয়েছিল সেই বিশ্বকাপে (অনূর্ধ্ব-১৯)। এখন আমাদের সময় এসেছে জাতীয় দলের হয়ে এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপের মতো জায়গায় গিয়ে ভালো করা, কাপ নেওয়া, ভালো করা না, কাপ নিতে চাই। শুধু আমি না, আমরা সবাই চাই। আমরা যদি আমাদের দিক থেকে ভালো করতে পারি, তাহলে বেশি দেরি নেই।'

দল হিসেবে ক্রিকেট দুনিয়ায় কদর পেতে হলেও একটা ট্রফি জেতার ভীষণ প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন হৃদয়,  'আইসিসি ইভেন্ট জেতাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, যখন জিতব, তখন আমাদের সেভাবেই মূল্যায়ন করা হবে। এখন যেমন বড় বড় দলের খেলোয়াড়দের মূল্যায়ন করা হয়…আমরা যদি দু-একটি ট্রফি জিততে পারি, তাহলে আমাদের মানসিক সন্তুষ্টি, আত্মবিশ্বাস…আমাদের যে নতুন প্রজন্ম আসবে, তাদেরও ওইভাবে সবাই মূল্যায়ন করবে।'

Comments

The Daily Star  | English

JnU second campus: Project stalled amid bureaucratic hurdles

The construction of Jagannath University’s long-awaited second campus in Keraniganj has stalled due to bureaucratic delays.

6h ago