খুলনায় রোদ উঠেছে, দুপুরের পর হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা

খুলনার কয়রা থেকে আজ মঙ্গলবার সকালে তোলা ছবি। ছবি: হাবীবুর রহমান/ স্টার

খুলনার আকাশে মাঝেমধ্যে মেঘ দেখা গেলেও সকাল থেকে আবহাওয়া স্বাভাবিক রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবের পর মঙ্গলবার সকাল থেকে সূর্যের দেখা পাওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরেছে।

তবে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে কালবৈশাখির মতো দমকা হাওয়া ও দুপুরের পর হালকা বৃষ্টি হতে পারে।

আজ সকাল থেকে খুলনা এবং এর আশেপাশের জেলাগুলোতে আকাশ মোটামুটি পরিষ্কার রয়েছে।

খুলনার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গত দুই দিনে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিতে কোথাও কোথাও পানি জমে আছে। গাছপালার পড়ে থাকা পাতা ও শুকনা ডাল এলোমেলো রাস্তায় ছড়ানো ছিটানো।

নদীতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিক সময়ের মতো প্রবাহিত হচ্ছে।

আজ সকালে খুলনার দৌলতপুর বাজারে পাশ দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব এর প্রবাহ স্বাভাবিক দেখা গেছে। খুলনা শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত রূপসার পানি প্রবাহও স্বাভাবিক রয়েছে। তবে শিবসা, কপোতাক্ষ ও সাতক্ষীরার খোলপেটুয়া নদী কিছুটা বিক্ষুব্ধ রয়েছে বলে স্থানীয়রা ফোনে জানিয়েছেন। খুলনা এবং এর আশেপাশে কোথাও সকাল ৮টা পর্যন্ত বৃষ্টি বা ঝড়ো হাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

ঘূর্ণিঝড় রিমাল উপকূলে আঘাত হানার আগেই খুলনার প্রায় সব নদ-নদীতে বিপৎসীমার ৩ ফুট উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। অতিরিক্ত জলোচ্ছ্বাসে খুলনার দাকোপ, পাইকগাছা এবং কয়রা উপজেলার অন্তত ৫০টি পয়েন্ট দিয়ে পানি উপচে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত করে।

খুলনার পাইকগাছার গড়াইখালি গ্রামের বাসিন্দা শাফায়েত হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, গত পরশু ও গতকাল শিবসার তাণ্ডবে পানি বাঁধ উপচে লোকালয়ে প্রকাশ করে। স্থানীয়দের সহায়তায় বাঁধে বস্তা ফেলে কোনোভাবে বড় বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। কিন্তু এখনই পানি উন্নয়ন বোর্ডের তৎপরতায় বাঁধ সংস্কার না করলে নিশ্চিত এই জায়গা ভেঙে যাবে।

খুলনা আবহাওয়া অফিসের জ্যৈষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ ডেইলি স্টারকে বলেন, খুলনা অঞ্চলে বড় ধরনের কোনো আশঙ্কার কারণ নেই। তবে কালবৈশাখির মতো দমকা হাওয়া ও দুপুরের পর হালকা বৃষ্টি হতে পারে।

খুলনার জেলা প্রশাসন থেকে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালে খুলনার ৫৫টি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে ও উপচে প্লাবিত হয়েছে ২০টির বেশি গ্রাম। এরমধ্যে ৩২টি পয়েন্টে ১ দশমিক ৭০৫ কিলোমিটার বাঁধ ভেঙে গেছে। আর ২৩টি পয়েন্টের ৩ দশমিক ৬৮৮ কিলোমিটার বাঁধ ওভারফ্লো হয়েছে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাড়ে ৪ লাখ মানুষ। ১২ হাজার ৭১৫ দশমিক ৫ হেক্টর জমির ধান, পাট, তরমুজ ও সবজি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও ৭ হাজার ২৮৩ হেক্টর জমির ৫ হাজার ৫৭৫টি মাছের ঘের এবং ৩০৭ হেক্টর জমির ৩ হাজার ৩০০টি পুকুরের মাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
NSC shop rent scam in Dhaka stadiums

Shop rent Tk 3 lakh, but govt gets just Tk 22,000

A probe has found massive irregularities in the rental of shops at nine markets of the National Sports Council (NSC), including a case where the government receives as little as Tk 22,000 in monthly rent while as much as Tk 3 lakh is being collected from the tenant. 

18h ago