যেসব রেকর্ড ভেঙে যেতে পারে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে
রেকর্ড গড়াই হয় ভাঙার জন্য, কথাটা টি-টোয়েন্টি সংস্করণের ক্ষেত্রে খাটে আরও বেশি। সময়ের সঙ্গে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যেতে থাকা কুড়ি ওভারের ক্রিকেটের বিশ্বকাপ নিকটেই। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে যৌথভাবে হতে যাওয়া এই প্রতিযোগিতায় কয়েকটি রেকর্ড ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। আগামী ২ জুন কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর শুরু হওয়ার আগে সেসবই দেখে নেওয়া যাক এক নজরে…
সবচেয়ে বেশি চার
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি চার মারার কীর্তি শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়াবর্ধনের। এই লঙ্কানের ১১১ চারের পেছনেই ১০৩টি চার মেরে আছেন ভারতের বিরাট কোহলি। ২০২৪ সালের বিশ্বকাপেই রেকর্ডটার মালিকানা নিজের করতে চাইবেন এই প্রতিযোগিতার ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তার সতীর্থ রোহিত শর্মারও এই তালিকায় এগিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা ভালোই। ৯১ চার মেরে চতুর্থ স্থানে থাকা রোহিতের পেছনেই আছেন ৮৬টি চার রান বের করা অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার।
দ্রুততম সেঞ্চুরি
৪৭ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল। নামিবিয়ার ইয়ান নিকোল লফটি-ইটন অবশ্য চলতি বছরেই টি-টোয়েন্টি সংস্করণে সবচেয়ে কম বলে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে নেপালের বিপক্ষে ৩৩ বলেই শতকের দেখা পেয়েছিলেন তিনি। যেভাবে ক্রিকেটের ছোট্ট সংস্করণে রানের বন্যা দেখা যাচ্ছে চলতি বছর এবং দ্রুতগতির ব্যাটিংয়ে উন্নতির ছাপ দেখা যাচ্ছে, তাতে ইউনিভার্স বস গেইলের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হুমকির মুখেই আছে।
সবচেয়ে বেশি ক্যাচ
ফিল্ডার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ নেওয়ার রেকর্ড দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্সের। তিনি ২৩টি ক্যাচ নিয়েছেন কুড়ি ওভারের বৈশ্বিক আসরে। ২১ ক্যাচ নেওয়া ওয়ার্নারের দারুণ সুযোগ আছে প্রোটিয়া কিংবদন্তিকে আসন্ন বিশ্বকাপেই ছাড়িয়ে যাওয়ার। যৌথভাবে চতুর্থ স্থানে থাকা রোহিত ও অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও চাইবেন নিজেদের ক্যাচের সংখ্যা বাড়িয়ে নেওয়ার। দুজনেই এখন পর্যন্ত নিয়েছেন সমান ১৬টি করে ক্যাচ।
প্রথম দল হিসেবে একইসঙ্গে সব সংস্করণে শিরোপাজয়ী
বৈশ্বিক আসর মানেই যেন অস্ট্রেলিয়ার রাজত্ব! সেই রাজত্বকে আরও গাঢ়ভাবে প্রদর্শন করার সুযোগ অজিদের জন্য অপেক্ষা করছে ২০২৪ বিশ্বকাপে। বর্তমানে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফির সঙ্গে ওয়ানডে বিশ্বকাপও তাদের ঘরে অবস্থান করছে। বার্বাডোজে অনুষ্ঠেয় ফাইনাল জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উঁচিয়ে ধরতে পারলে একইসঙ্গে সব সংস্করণের বিশ্বকাপের মালিক বনে যাওয়া প্রথম দল হবে অস্ট্রেলিয়া। আবার অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেরও বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। মেয়েদের টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে দুই সংস্করণের সবশেষ বিশ্বকাপেও তারা শিরোপাজয়ী।
এক আসরে সবচেয়ে বেশি রান
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ১৬ থেকে বেড়ে ২০টি হয়েছে এবার। এজন্য দলগুলোর ম্যাচের সংখ্যাও বেড়েছে স্বাভাবিকভাবেই। নবম আসরে সর্বোচ্চ নয়টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে কোনো দল। সেকারণে রানের খাতাও বড় করার হাতছানি থাকছে ব্যাটারদের সামনে। এক আসরে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড ভেঙে যাওয়ার জোরালো সম্ভাবনা তাই আসন্ন আসরেই, যে রেকর্ডের মালিক এখন কোহলি। ২০১৪ বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচেই ভারতীয় তারকা করেছিলেন ৩১৯ রান।
Comments