গাজায় আরও ৭ মাস হামলা চলবে: ইসরায়েল

ইসরায়েলি রেডিও স্টেশন রেশেত বেটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাচি হানেগবি বলেন, ‘যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার কাছে পরিকল্পনা জমা দেওয়ার প্রথম দিনই খোলামেলা ভাবে জানানো হয়েছিল যে এই সংঘাত অবসান হতে দীর্ঘ সময় লাগবে।’
গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি সেনারা ট্যাংকের ওপর বসে তরমুজ খাচ্ছেন। ছবি: রয়টার্স
গাজা সীমান্তে ইসরায়েলি সেনারা ট্যাংকের ওপর বসে তরমুজ খাচ্ছেন। ছবি: রয়টার্স

ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল প্রধান জানিয়েছেন, হামাসকে নির্মূল করার লক্ষ্য অর্জনে আরও অন্তত সাত মাস যুদ্ধ করার প্রয়োজন হতে পারে।

আজ বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।

ইসরায়েলি রেডিও স্টেশন রেশেত বেটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাচি হানেগবি বলেন, 'যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার কাছে পরিকল্পনা জমা দেওয়ার প্রথম দিনই খোলামেলা ভাবে জানানো হয়েছিল যে এই সংঘাত অবসান হতে দীর্ঘ সময় লাগবে।'

'এই পরিকল্পনার কয়েকটি ধাপ রয়েছে। ২০২৪ সালকে সংঘাতের বছর হিসেবে ধরা হয়েছে। আমরা এখন ২০২৪ এর পঞ্চম মাসে আছি। যার অর্থ, আমরা আশা করছি লক্ষ্যের কাছে পৌঁছে একে অর্জন করতে আরও সাত মাস যুদ্ধ করতে হবে। তবেই আমরা হামাস ও ইসলামিক জিহাদের সামরিক ও প্রশাসনিক সক্ষমতা ধ্বংস করতে পারব', যোগ করেন তিনি।

ইসরায়েলি জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রধান তাচি হানেগবি। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ইসরায়েলি জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের প্রধান তাচি হানেগবি। ফাইল ছবি: রয়টার্স

তিনি আরও বলেন, 'আপনাদেরকে ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং সংঘাতের মুখেও শক্ত থাকতে হবে। এই মানসিকতার কারণেই জাতি হিসেবে আমরা ৭৫ বছর ধরে ধরে টিকে আছি, এবং এর আরও তিন হাজার বছর আগে থেকেই আমরা আছি। যুদ্ধ কখন শেষ হবে, সেই অপেক্ষায় স্টপওয়াচ চালু করবেন না, এটাই আমার অনুরোধ।'

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। এতে এক হাজার ১৭০ জন নিহত হন। হামাসের হাতে জিম্মি হন ২৫২ জন। জিম্মিদের মধ্যে ১২১ জন এখনো গাজায় আছেন এবং ৩৭ জন ইতোমধ্যে নিহত হয়েছেন।

এই হামলার প্রতিশোধ হিসেবে সেদিনই গাজার বিরুদ্ধে নজিরবিহীন ও নির্বিচার বিমানহামলা শুরু করে ইসরায়েল। পরবর্তীতে স্থলবাহিনীও এতে যোগ দেয়। গত ৭ মাসে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা অন্তত ৩৬ হাজার ৫০। এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

 

Comments

The Daily Star  | English

Movements that cause public suffering should be avoided: Quader

Awami League General Secretary Obaidul Quader today said programmes like the anti-quota movement that cause public suffering should be avoided

2h ago