টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

ভারত ভিন্ন ১৫ জন পাঠালেও অন্যতম ফেভারিট থাকত: লারা

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতকেই সবচেয়ে বেশি ফেভারিট মনে হচ্ছে ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারার।
Brian Lara

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতকেই সবচেয়ে বেশি ফেভারিট মনে হচ্ছে ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান লারার। তারমতে দেশটিতে এত প্রতিভার ছড়াছড়ি যে তারা যদি বর্তমান স্কোয়াড বদলে অন্য ১৫ জন ক্রিকেটারকেও বিশ্বকাপে পাঠাত, তাহলেও তারা ফেভারিটের কাতারেই থাকত।

আইপিএলের কারণে টি-টোয়েন্টিতে ভারতের পুল অনেক বড়। বিশ্বকাপ দল ঘোষণার আগেও কারা সুযোগ পাবেন তা নিয়ে চলে জল্পনা। ১৫ জনের বিশ্বকাপ দলে লোকেশ রাহুল, শুভমান গিল, রতুরাজ গায়কোয়াড়দের মতন তারকাদের ঠাঁই হয়নি।

এই প্রেক্ষিতে স্টার স্পোর্টসকে তাই ভারতীয় দল নিয়ে বড় মন্তব্য করেন লারা, 'ভারতীয় দলকে দেখে ভীষণ ভালো মনে হচ্ছে। তাদের এমনিতেও এত বেশি প্রতিভা আছে যে ভিন্ন আরও ১৫ জনকে নিলেও তারা অন্যতম ফেভারিট থাকত বিশ্বকাপে।'

টানা নবম বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছেন রোহিত শর্মা। অধিনায়ক রোহিতের পাশাপাশি সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা নিয়ে আছেন বিরাট কোহলি। জাসপ্রিট বুমরাহ, রবীন্দ্র জাদেজা, হার্দিক পান্ডিয়াদের মতন প্রতিষ্ঠিতরা তো আছেনই। শিবাম দুভে, সঞ্জু স্যামসন, কুলদীপ যাদব, যুজভেন্দ্র চেহেল, আর্শদ্বীপ সিংদের নিয়েও দলটির সমন্বয় ভালো। লারা মনে করছেন কন্ডিশন বিচারে ভারতের স্কোয়াড বেশ ভারসাম্যপূর্ণ, 'দলে অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। ব্যাটিং-বোলিংয়ের দিক থেকে ভারসাম্যও আছে। তারা ক্যারিবিয়ানের কন্ডিশন বুঝে বেশ কিছু স্পিনার রেখেছে। জাসপ্রিট বুমরহর নেতৃত্বে  পেস বোলার গ্রুপ তো আছেই।'

অবশ্য প্রতিটি আইসিসি ইভেন্টেই ভারতের স্কোয়াড থাকে তারায় ভরা। হট ফেভারিট হিসেবেই আসর শুরু করে তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ট্রফি খরা লম্বা হচ্ছে দলটির। ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিলো ভারত, ২০১১ সালে জিতেছিল ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর থেকে আর কোন আইসিসি আসর জিততে পারছে না। লারা মনে করছেন বড় তারকা থাকলেই চলবে না, শেষ পর্যন্ত সাফল্যের পরিকল্পনাটা কি তা বেশি গুরুত্বপূর্ণ,  'ঘাটতির জায়গা বলতে চূড়ান্ত পরিকল্পনা আছে কিনা দেখতে হবে। গত কিছু আইসিসি আসরে যেটার ঘাটতি ছিলো। আপনার দলে কতজন সুপার স্টার আছেন এটা ম্যাটার করে না, আপনি কীভাবে বিশ্বকাপটা জিতবেন এই পরিকল্পনা ম্যাটার করে। আমি বিশ্বাস করি রাহুল দ্রাবিড়ের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে তা নিয়ে।'

Comments

The Daily Star  | English

An economic corridor that quietly fuels growth

At the turn of the millennium, travelling by road between Sylhet and Dhaka felt akin to a trek across rugged terrain. One would have to awkwardly traverse bumps along narrow and winding paths for upwards of 10 hours to make the trip either way.

7h ago