সুন্দরবন থেকে আরও ৭ হরিণের মরদেহ উদ্ধার

ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে সুন্দরবনের নদীতে ভাসছে হরিণের মরদেহ। ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে সুন্দরবনে মৃত প্রাণীর সংখ্যা বাড়ছে। সর্বশেষ আরও সাতটি হরিণের মরদেহ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। 

এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১৩৪টি হরিণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'উদ্ধারকৃত মৃত বন্যপ্রাণীগুলো মূলত সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের কটকা, কচিখালী, দুবলা, নীলকমল, আলোরকোল, ডিমের চর, পক্ষীরচর, জ্ঞানপাড়া, শেলার চর এবং বিভিন্ন নদী ও খালে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। পশ্চিম সুন্দরবনে পাঁচটি হরিণের মরদেহ পাওয়া গেছে। অন্যগুলো পূর্ব সুন্দরবনে পাওয়া যায়।'

এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

মিহির কুমার দো আরও বলেন, 'পুকুরগুলো লবণাক্ত পানিতে নিমজ্জিত হয়ে বন্যপ্রাণী, বনজীবী ও বনকর্মীদের ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। পুকুরের লবণাক্ততা দূর করাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।'

তিনি জানান, পুকুরের পানি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় বনের অভ্যন্তরে বিভিন্ন ক্যাম্প এবং স্টেশনে কর্মরত বন কর্মীরা কয়েকদিন ধরে গোসল পর্যন্ত করতে পারছেন না।

পুকুরের লবণাক্ততা দূর করতে পানি মেশিনের সাহায্যে সেচ দিয়ে বাইরে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

এই বন সংরক্ষক বলেন, 'পুকুরের লবণাক্ততা দূর করার সহজ কোনো উপায় নেই। আমরা বিভিন্ন ক্যাম্প ও স্টেশনের পুকুরগুলোর লবণ পানি মেশিনের সাহায্যে সেচ দিয়ে বাইরে ফেলে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করেছি। পুকুরের সব পানি বাইরে ফেলে দেওয়ার পর অপেক্ষা করতে হবে বৃষ্টির জন্য। বৃষ্টির পানিতে পুকুর ভরলে কেবল তখনই সেই পানি ব্যবহার করা যাবে। কাজেই আমাদের এখন বৃষ্টির দিকে চেয়ে থাকতে হচ্ছে।'

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি ও উড টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক ড. ওয়াসিউল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যদি সুন্দরবনকে বিরক্ত করা না হয় এবং তাকে যদি হিলিংয়ের সুযোগ দেওয়া যায়, তাহলে সে নিজে নিজেই তার ন্যাশনাল ইকোসিস্টেমের ভেতর দিয়ে আগের অবস্থানে ফিরে যাবে। যুগ যুগ ধরে এরকম ঝড়-জলোচ্ছ্বাসে নিজে নিজেই সে সুস্থ হয়ে উঠেছে।'

'তবে পোস্ট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টে কীভাবে কাজ করা হচ্ছে, কোন কোন সায়েন্টিফিক উপায় ব্যবহার করা হচ্ছে, এটা একটা বড় ইস্যু', বলেন তিনি।

 

Comments

The Daily Star  | English
National election

Political parties must support the election drive

The election in February 2026 is among the most important challenges that we are going to face.

5h ago